১১৯ আসনে ১৩১ প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম | প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
১১৯ আসনে ১৩১ প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

জাতীয় পার্টি ও জেপির নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট আসন্ন নির্বাচনে ১১৯টি আসনে ১৩১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কয়েকটি আসনে একাধিক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি, যা নির্বাচনী কৌশলের অংশ বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনের বলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু। সংবাদ সম্মেলনে জোটের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে হলভর্তি কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এই ঘোষণা আসে।

গত ৯ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টে বর্তমানে ১৮টি রাজনৈতিক দল যুক্ত রয়েছে। জোটের নেতৃত্বে রয়েছে জাতীয় পার্টির একাংশ ও জেপি। এর পাশাপাশি জনতা পার্টি বাংলাদেশ, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ধারার দল এতে অংশ নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে জোটের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল রাজনীতির পথে হাঁটতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, এই জোট মানুষের প্রত্যাশার কথা সংসদে তুলে ধরতে পারবে।”

জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করাই এই জোটের মূল লক্ষ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিভিন্ন মত ও পথের দলগুলো একসঙ্গে থেকে একটি কার্যকর রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ এবং জোটের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন। নেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জোটের সাংগঠনিক তৎপরতা ইতোমধ্যে জোরদার করা হয়েছে এবং প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

জোট সূত্র জানায়, কিছু আসনে একাধিক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক বাস্তবতা ও দলগুলোর সমর্থন বিবেচনায় রেখে। নির্বাচনী পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে সমন্বয়ের সুযোগও খোলা রাখা হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে