ভাইয়ের কবর ও শহীদ সেনাদের কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
ভাইয়ের কবর ও শহীদ সেনাদের কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক ও পারিবারিক বিচ্ছেদের পর ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নীরবতায় দাঁড়িয়ে তিনি ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এটি ছিল কোকোর দাফনের পর তারেক রহমানের প্রথম কবর জিয়ারত।

বিকেল ২টার দিকে বনানী কবরস্থানে পৌঁছে কোকোর কবরে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারেক রহমান। পরে সুরা ফাতেহা ও দরুদ শরীফ পাঠ করে মোনাজাত করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের নেতাকর্মী, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ঘনিষ্ঠজনেরা। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। সে সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি তারেক রহমান।

একই দিনে বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তার কবরও জিয়ারত করেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এ সময় তার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা শহীদ হন।

এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তারেক রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহিদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেন। পরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগের দিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তার বাবা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দিনব্যাপী এসব কর্মসূচির আগে শনিবার দুপুর ১টার দিকে তারেক রহমান নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হন। নির্বাচন ভবনের ইটিআই ১০৪ নম্বর কক্ষে তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সেখানে তার আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান নেওয়া হয়। নিবন্ধন শেষে দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তার গাড়িবহর নির্বাচন কমিশন এলাকা ত্যাগ করে। এ সময় আগারগাঁও এলাকায় বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে পুরো এলাকা মুখর হয়ে ওঠে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে