দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পর প্রথমবারের মতো বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে গেলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাঁর এই উপস্থিতিকে দলীয় রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছান তারেক রহমান। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে আগেই এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। দেশে ফেরার পর ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবারই প্রথম তিনি সরাসরি দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ের কার্যক্রমে অংশ নেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে গুলশানের এই কার্যালয় চালু হওয়ার পর তারেক রহমান কখনো কারাবন্দী ছিলেন, কখনো নির্বাসনে। ফলে সশরীরে এই কার্যালয়ে এটিই তাঁর প্রথম উপস্থিতি। এ কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ ও আবেগ লক্ষ্য করা যায়।
কার্যালয়ে পৌঁছালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারা তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন তারেক রহমান। দেশে ফেরার পর তিনি সংবর্ধনায় অংশ নেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে মাকে দেখতে যান, শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন এবং সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি তিনি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করেন।
এদিকে রোববার সকালে বিএনপির মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে, তারেক রহমান আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ জন্য তাঁর পক্ষে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় পর তারেক রহমানের সরাসরি দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিতি সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনবে এবং নির্বাচনের আগে দলের ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে।