তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ব্রহ্মরাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

এফএনএস (এস.এম. শহিদুল ইসলাম; সাতক্ষীরা) : | প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ব্রহ্মরাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

"এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই"Ñপ্রতিপাদ্যে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী " তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ ও তারুণ্য মেলা" উপলক্ষে কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ০৯ নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে বিস্তারিত কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, ৮দলীয় টি-টেন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখ দিয়ে স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় চত্বরে ফিরে আসে। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন ব্রহ্মরাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দীন ঢালী। শোভাযাত্রায় অংশ নেন ব্রহ্মরাজপুর ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ আমিনুর রহমান, ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল ইসলাম, ইউপি মেম্বর মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আব্দুল হাকিম, মোঃ লুৎফর রহমান শেখ, আফরোজা খাতুন, নূরুন্নাহার, ময়না খাতুন, সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুজিৎ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক এসএম শহীদুল ইসলাম, মোঃ নজিবুল ইসলাম, মোঃ হাফিজুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম, গীতা রানী সাহা, শামীমা আক্তার, খালেদা খাতুন, কনক কুমার ঘোষ, অরুণ কুমার মন্ডল, মৃনাল কুমার বিশ্বাস, ভানুবতী সরকার, শাহানারা খাতুনসহ


সকল মেম্বর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রাম পুলিশ সদস্যগণ। শোভাযাত্রার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া শোভাযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত হয় "তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ" শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা।  এতে অংশগ্রহণ করে ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 


শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে বক্তারা বলেনÑতারুণ্য দীপ্ত চোখ হোক বাংলাদেশের প্রতিটি তরুণের অন্তর ও বিবেক। তরুণরাই আগামীতে দেশের হাল ধরবে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে আগামীর বাংলাদেশ। অর্থনৈতিকভাবে দেশ হবে সমৃদ্ধিশালী। যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য। থাকবে না দমন-পীড়নের কোনো রাজনীতি। দেশ হবে জনগণের। আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ হবে ন্যায়নিষ্ঠ। প্রতিষ্ঠিত হবে সার্বজনীন মানবাধিকার। একটি আদর্শিক এবং পরিকল্পিত বাংলাদেশই হোক আমাদের নতুন বাংলাদেশ। দেশের ৬কোটি তরুণের ১২ কোটি হাতের কোমলস্পর্শে গড়ে উঠুক শান্তি-সম্প্রীতির নতুন বাংলাদেশ।