চিরিরবন্দর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন বছরের শুরু থেকেই ক্লাস শুরু হলেও এখন পর্যন্ত অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা পাঠ্য বই হাতে পায়নি। সময়মত পাঠ্য বই হাতে না পাওয়ায় ক্লাস শুরু হলেও বইয়ের অভাবে ক্লাসে যেতে পারছেন না তারা। জানা গেছে, উপজেলায় ১৯৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্য বই বিতরন করা হলেও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পায়নি কোন বই । অপরদিকে উপজেলার ৭৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ৩টি করে বই পেলেও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এখনো নতুন বই পায়নি। উপজেলার ৩৯ টি দাখিল মাদরাসারও একই অবস্থা তারাও ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর বই হাতে পেলেও অনান্য শ্রেণীর বই পায় নাই। ক্লাসের পাঠ্য বই সময় মত না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলেও ক্লাস না করে ফিরে যাচ্ছেন তবে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরতান বই ও হাতের লেখার মধ্যদিয়ে ক্লাস করছেন। উপজেলার নশরতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মছিরত আলী জানান, তারা গত ১ জানুয়ারি কিছু পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি। তবে চলতি মাসের মধ্যেই বাকী বই পেয়ে যাবে বলে তিনি জানান। হরিশচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মুক্তা জানান, গত ১ জানুয়ারি প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই দেওয়া হয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বই এই মাসের মধ্যে বিতরণ করা হবে। পাঠ্য বই না পাওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনারা বেগম জানান, আমরা গত ১ জানুয়ারি সকল স্কুলে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্য বই বিতরণ করেছি। অন্যান্য শ্রেণীর বাকী বইগুলো বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে কিছু বই দেরিতে আসবে, সেগুলোও খুব শিঘ্রই বিতরণ করা হবে। বই না পাওয়ার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফজলে এলাহী জানান, মাধ্যমিক ও মাদরাসায় কিছু বই বিতরন করা হলেও অন্যান্য বই এখনো বিতরন করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করছি এ মাসের মধ্যে সমস্ত বই হাতে পেয়ে যাবো।