শ্রীমঙ্গলের প্রসিদ্ধ পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিলে পাখি শুমারিতে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৮৭০ জলচর পাখির দেখা মিলেছে। এছাড়াও এ বছর উল্লেখযোগ্য ৭৫০টি ‘মেটে মাথা টিটি’, ৬৩৯টি ‘রঙ্গিলা কাস্তেচরা’, এবং ১০০টি ‘কাল মাথা কাস্তেচরা’ পাখির দেখা পাওয়া গেছে। ১৭-১৮ জানুয়ারি বাইক্কা বিলে পাখি শুমারি শেষে শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের সিএনআরএস কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাস এর ভলান্টিয়ার ও পাখি বিশেষজ্ঞ ড. পল এম থম্পসন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের মেম্বার সামিউল মোহসেনিন ও প্রতিবেশ প্রকল্পের সাইট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান চৌধুরী। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, পাখি শুমারিতে পেরিগ্রিন ফেলকন পাখি ১টি, মেটে মাথা কুড়া ঈগল ২টি, উত্তরে টিটি ২টি পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও দেখা মিলেছে ৭ প্রজাতির হাঁস জাতীয় পাখির। তাছাড়া পাখিশুমারিতে মরচে ভুতি হাস, পিয়ং হাস, বালি হাস, উত্তরে লেঞ্জা হাস, খুনতে হাসের দেখা মিলেছে। তবে এ বিলের গড়ে ৫৯ শতাংশ পাখির সংখ্যা হলো পরিযায়ী। পাখি বিশেষজ্ঞ ড. পল এম থম্পসন বলেন, গত ২-৩ বছরের তুলনায় এবার পাখির সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এবার পাখি শুমারিতে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৮৭০ পাখি দেখা গেছে। ২০২৪ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি এবং ২০২৩ সালে ৪০ প্রজাতির ৬ হাজার ১৪১ পাখির বাইক্কা বিলে বিচরনের তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো। পল থম্পসন আরো জানান, গত ২২ বছর ধরে শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে পাখিশুমারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাইক্কা বিলে প্রথম পাখিশুমারি হয় ২০০৩ সালে। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে এ শুমারি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাখি এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাসের আওতায় এই পাখিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। থম্পসন বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ এবং ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালে বাইক্কা বিলে পাখিশুমারিতে গড়ে ৯ হাজার জলচর পাখির দেখা পাওয়া গিয়েছিলো।