আশাশুনিতে ৭৮ বছরের ভোগদখলীয় ও বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও বিরোধী পক্ষের নানা ষড়যন্ত্রে মালিক পক্ষ বিব্রত বোধ করছেন। আশাশুনি সদরের দুর্গাপুর মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে। ছুরত আলী সরদার গং দুর্গাপুর মৌজায় এসএ ১৭৪ নং খতিয়ানে এসএ ২৭৩ ও ২৭৭ দাগে ১.৯০ একর জমি ১৯৪৭ সাল থেকে অদ্যাবধি ভোগদখল করে আসছেন। সেখানে পাকা ঘর বাড়ি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো রয়েছে। যার মধ্যে সাবেক ২৭৩ দাগে ৯৮ শতক জমিতে মৎস্য চাষ করে আসছেন। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে হালনাগাদ কাপজপত্র ঠিক করা হয়েছে। যার বিআরএস খতিয়ান ৪৯১ ও ১৯৫। হাল দাগ ৪৫৫ ও ৪৩৮। বিবাদী পক্ষের শফিকুল ইসলাম জানান, এতকিছুর পরও বাদী পক্ষ ১২/২০০৫ মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালত বাদী পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখতে পান কাগজপত্র সঠিক না হওয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়ার জন্য বাদী পক্ষেরর আইনজীবিকে জানানো হয়। কিন্তু তারা একের পর এক সময়ের আবেদন করে আসছেন এবং আদালতে জবাব দিতে না পেরে "ডেইলি ন্যাশনাল প্রেস" নামে একটি ইংরেজী ফেসবুক আইডিতে গত ২৮ জানুয়ারী আদালতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্টাটাস প্রচার করেছে। যাতে বিজ্ঞ আদালত ২১ বছর ধরে মামলা চলমান সমাধান নেই! উল্লেখ করে যে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং বিবাদী পক্ষের রেজাউলের বিরুদ্ধে যে কথা বলা হয়েছে তারও কোন ভিত্তি নেই বলে বিবাদী পক্ষ ও প্রতিবাদ করেন। শফিকুল ইসলাম আরও জানান, তাদের সকল কাগজপত্র বিজ্ঞ আদালতে জমা আছে। রেজাউল বিবাদী ছুরত আলীর নিকট থেকে ২৮/০৬/১৯৮৯ তাং কোবালা দলিল (নং ২৬০২) মূলে ৩১ শতক জমি ক্রয় করে সত্ত্ববান ও দখলে আছেন।