পীরগঞ্জে কমলা-মাল্টা চাষেই স্বাবলম্বী মাইনুল

এফএনএস (মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান; পীরগঞ্জ, রংপুর) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৪৩ এএম
পীরগঞ্জে কমলা-মাল্টা চাষেই স্বাবলম্বী মাইনুল

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী বড় আলমপুরের পাটগ্রাম মৌজার আব্দুল মান্নানের ছেলে মাইনুল হুদা। কয়েক বছর আগে ইউটিউবে কমলা ও মাল্টা চাষ দেখে নিজে তা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। এরপর পরিকল্পনা গ্রহন করেন কমলা ও মাল্টা চাষের। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়ির পাশেই ৭০ শতাংশ জমিতে কমলা ও মাল্টা চাষে হাত দেন। এখন তিনি কমলা চাষেই স্বাবলম্বী হবার স্বপ্ন দেখছেন। হুদা জানায়, বিগত ২০২১ সালে ইউটিউব দেখে কমলা ও মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হই। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রথমে ১২০টি চারা সংগ্রহ করি। ৭০ শতক জমিতে চায়না,অস্ট্রেলিয়ান,ভেরিকেট ও ম্যান্ডারিং জাতের কমলা ও মাল্টার চাষ শুরু করি। বাগান করার ২ বছরের মাথায় প্রতিটি গাছে ফল আসে। এ বছর প্রচুর ফলন হয়েছে। কমলার আকার, রঙ, রস ও ফলন দেখে অনেক খুশি তিনি। এবারে কমলা-মাল্টা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন। আমার বাগান দেখে অনেকে কমলা-মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কমলা বাগান দেখতে আসা, ধর্মদাশ গ্রামের সোহেলআলম,ধনশলার সরওয়ার জাহান,সানেরহাটের রেজাউল করিম, পচাকান্দরের শাহজাহান মন্ডল জানান, আমাদের এলাকায় কমলা চাষ হচ্ছে দেখে আমরা খুশি। ফলও বেশ সুস্বাদু। আমরা আশা করছি মাইনুলের ফলের বাগান এই এলাকায় সাড়া জাগাবে। বাগান ঘুরে দেখা গেছে, কমলা-মাল্টার পাশা-পাশি রয়েছে বারোমাসি আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু ও কুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলগাছ। এখন তার বাগানে চায়নাসহ অস্ট্রলিয়ান, ভেরিকেট, ম্যান্ডারিং চার জাতের কমলার চাষ হচ্ছে। প্রথম বার বিগত মওসুমে বাগানের শতাধিক গাছে ফল ধরে। দ্বিতীয়বারের মতো চলতি মওসুমে প্রায় প্রতিটি গাছে প্রচুর কমলা ধরেছে। কমলার আকার, রং, রস দেখে খুশি এই উদ্যোক্তা। প্রতিদিন বাগানটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে। কমলা সুস্বাদু হওয়ায় বাগান থেকেই কমলা বিক্রি হচ্ছে ২’শ ও মাল্টা ২’শ ৫০ টাকা কেজি দরে। হুদার মনমুগ্ধকর কমলা বাগান দেখতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিনিয়তই লোকজন আসছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, দেশে কমলা চাষ শুধু কৃষকদের আয়ের নতুন দ্বার খুলে দিচ্ছে। আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিতেও যোগ করছে নতুন মাত্রা। মাইনুলের এই উদ্যোগ যেন সারাদেশের কৃষকদের জন্য প্রেরণা হয়ে ওঠে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে