বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি

এফএনএস স্পোর্টস : | প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম : | আপডেট: ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করল আইসিসি
নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টার অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন কোডের পাঁচটি ধারা লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করার পর, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ম্যাচের আগে, সোহেলী আক্তার বাংলাদেশ দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান। তবে সেই ক্রিকেটার অসাধু পথে না গিয়ে ঘটনাটি দ্রুত আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (ACU) কে জানান। এরপর বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং টিম ম্যানেজমেন্টের নজরে আসে।

আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন কোডের যে ধারাগুলো সোহেলী লঙ্ঘন করেছেন তা হলো:
ধারা ২.১.১: ম্যাচ ফিক্সিং বা যেকোনো উপায়ে খেলার ফলাফল বা অগ্রগতিকে অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা। এর মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করাও অন্তর্ভুক্ত।
ধারা ২.১.৪: অন্য কোনো অংশগ্রহণকারীকে ফিক্সিংয়ের জন্য প্ররোচিত করা বা সহায়তা করা।
ধারা ২.৪.৪: দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (ACU) ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাবের তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়া।
ধারা ২.৪.৭: দুর্নীতি দমন ইউনিটের তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা বা তথ্য গোপন করা।

দুই বছর ধরে চলা তদন্ত শেষে আইসিসি সোহেলীর দোষ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই শাস্তি ঘোষণার পর, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে। সোহেলী আক্তার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্বীকার করেছেন এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন।

সোহেলীর ক্রিকেট ক্যারিয়ার২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করা সোহেলী আক্তার বাংলাদেশের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি এবং ১৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। এই ম্যাচগুলোতে তিনি মোট ১১টি উইকেট নিয়েছেন এবং ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ৬ রান। ২০২২ সালে তিনি সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। এরপর থেকে তিনি দলের বাইরে ছিলেন।

এই ঘটনা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে এক বিশাল ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়েছে। ক্রিকেট বোর্ড এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান উঠেছে। তবে, আইসিসির দ্রুত পদক্ষেপ এবং সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের সততার কারণে এই ফিক্সিং প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই শাস্তি অন্যান্য খেলোয়াড়দের জন্য একটি কঠিন বার্তা হিসেবে কাজ করবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে