পবিত্র মাহে রমজানে দিনের বেলায় খাবারের দোকানগুলোতে পর্দা না টানিয়ে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা। এনিয়ে স্থানীয় মুসুল্লীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল বন্দরের।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই বন্দরে ১১টি খাবার হোটেল, ছয়টি মিষ্টির দোকান ও ২৫টি চায়ের দোকানসহ প্রায় ৪০টি খাবারের দোকানে কোন ধরনের পর্দা না টানিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সরিকল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক তারক চন্দ্র দাস বলেন, বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় দোকানে পর্দা না টানিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের খাবার হোটেলের কয়েকজন মালিক বলেন, রমজানের শুরু থেকে পর্দা না টানিয়ে দোকান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করায় অনেকেই লোকলজ্জায় খাবার খেতে দোকানে ঢুকছেন না। তাই খাবার বিক্রি খুবই কম হচ্ছে।
অভিযোগের ব্যাপারে সরিকল বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেদায়েত হোসেন মৃধা বলেন, দোকানে পর্দা না থাকলে অন্য ধর্মের লোকজন ছাড়া মুসলমান ধর্মের লোকজন লজ্জায় দোকানে ঢুকে খাবার খাবেন না। আর দোকানে এসে খাবার খেতে না পারলে মুসলমানরা রোজা রাখবে। এমন কথা মাথায় রেখে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রমজান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রমজান মাসজুড়ে খাবারের দোকানগুলোতে পর্দা না টানিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১০ রমজান আবারও একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।