জেলার মুলাদী ও গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী আড়িয়াল নদীর মুলাদী অংশে অবাধে চরের মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কতিপয় বিএনপির কর্মীরা। দিনের পর দিন চরের মাটি কেটে বিক্রি করা হলেও বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। তবে যেই চরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে তা মুলাদী উপজেলার মধ্যে হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারছেন না গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার মিয়ারচর এলাকার একাধিক বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আড়িয়াল খাঁ নদীর গৌরনদী ও মুলাদী উপজেলার সীমান্তবর্তী চর থেকে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করছে মিয়ারচর ও মুলাদী উপজেলার কতিপয় বিএনপি কর্মীরা। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০/১২টি জাহাজে এসব মাটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নপ্রান্তে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়রা নদী ভাঙনরোধে অবৈধভাবে চরের মাটি কাটা বন্ধের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মাটি কেটে বিক্রির সাথে যুক্ত গৌরনদীর মিয়ারচর এলাকার বাসিন্দা বিএনপি কর্মী জহির প্যাদা বলেন, মুলাদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী কামালের সাইডে আমরা শুধু কাজের দেখভাল করছি। এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি (জহির) কাজী কামালের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
তবে মুলাদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী কামাল বলেন, কে কোথায় চরের মাটি কেটে বিক্রি করছে তা আমার জানা নেই। জহির প্যাদা নামের ওই লোককে আমি চিনিওনা। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ এ কাজ করতে পারেন।
এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরাগ সাহা বলেন, কয়েকদিন আগে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়েছিলো। এখন আবার চরের মাটি কেটে বিক্রি করা শুরু করলে খোঁজখবর নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।