বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শহীদ সাগর হাওলাদারের পিতার উপর মঙ্গলবার দুপুরে হামলা করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থনীয়রা আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়েছে। এঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার গুলি শহীদ হয় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা বাগধা গ্রামের সাগর হাওলাদার। তার পিতা বাগধা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈহরী প্রহরী নুরুল হক হাওলাদার গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনের হাফিজুল বখতিয়ার দোকানে চা পান করছিলেন। এসময় একই গ্রামের মাওলানা জাকায়িা মিয়ার ছেলে জহিরুল মিয়া (১৯) পূর্ব পরিকল্পীত ভাবে নুরুল হক হাওলাদারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দেয়। এসময় বাঁধা দিয়ে নুরুল হক তার হাত ধরেফেলে। এতে নুরুল হকে গালাগালসহ তার উপর হামলা করে কিল ও ঘুষি মেরে আহত করে। এসময় স্থানীয় হাফিজুল বখতিয়ার, নুরআমিন হাওলাদার ও শাওন মিয়া এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় আহত নুরুল হক হাওলাদার বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জহিরুল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এব্যাপারে আহত নুরুল হক হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে সাগর হাওলাদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়। কিছুদিন পূর্ব থেকে জহিরুল মিয়া আমাকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়ভীতিসহ হুমকি দিয়ে আসছিল। তার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে আমার উপর পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে আমার ধারনা। অভিযুক্ত জহিরুল মিয়া হামলার পরে আত্মগোপনে থাকায় তার সাথে বারবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নাই। তার পিতা মাওলানা জাকায়িা মিয়া বলেন, আমার ছেলে মানষিক ভারষাম্যহীন হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে চিকিৎসা করাচ্ছি। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদের পিতার উপরে আমার ছেলে যে হামলা করেছে আমি এ ঘটনায় দুঃখিত। এটি দুঃজনক। এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.অলিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।