সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে প্রবেশ করেন দলটির নেতারা।
বৈঠকে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১০ জনের প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
বৈঠকে শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন,
“রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা যেন বেহাত না হয়, এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ শুধুমাত্র সরকারের নয়, দেশের সব নাগরিকের।”
জামায়াতের পক্ষ থেকে নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন,
“৫৪ বছরের বাংলাদেশের ব্যাপারে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। তাই চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে তা যেন ব্যর্থ না হয়। একই সঙ্গে জাতি এক নতুন বাংলাদেশ চায়। এ লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান।”
উল্লেখ্য শুক্রবার দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সভায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এর নেতৃত্বে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।
প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন
সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ সাবেক এমপি, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবে জামায়াতের প্রতিনিধি দলটি।
গত ২০ মার্চ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও দুই কক্ষের সংসদের দাবি জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব জমা দেয় জামায়াতে ইসলামী। সেসময় সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ বেশ কিছু বিষয়ে মতামতও দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় দরকার তা সরকারকে জামায়াত দিতে চায় বলেও জানান দলটির নেতারা।