“এ বছর কাগজের দাম বেশি, তাই প্রশ্নের দাম বেশি’: শিক্ষা অফিসার

এফএনএস (মোঃ শহিদুল ইসলাম; লালমোহন, ভোলা) :
| আপডেট: ৮ মে, ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম | প্রকাশ: ৮ মে, ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
“এ বছর কাগজের দাম বেশি, তাই প্রশ্নের দাম বেশি’: শিক্ষা অফিসার

লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ১০ টাকার সিলেবাস বিক্রি নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। নব যোগদানকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহে আলম উপজেলার ১১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস ক্রয় করা বাধ্যতামূলক করেছেন। তবে এই সিলেবাস শিক্ষা অফিসার নিজে সরবারাহ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই জন্য তিনি প্রতি ক্লাস্টারে একজন করে শিক্ষককে দায়ীত্ব দিয়েছেন। যারা সিলেবাস শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে নিয়ে তাকে টাকা বুজিয়ে দিবেন। একই সাথে বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার গতবছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুন দাম নিয়ে প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, অতীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কোন সিলেবাস ছিলো না। সরকার কর্তৃক প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা দেওয়া আছে। সেখানে কোন সময় কি পড়ানো হবে তা উল্লেখ আছে। এর বাইরে আলাদা করে সিলেবাস ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিক্রি কারা এটা অবিনব বলে মনে করেন প্রধান শিক্ষকদের কেউ কেউ। শিক্ষকরা জানান, বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই সিলেবাস দেওয়া কতটা যুক্তিসংঘত হয়েছে? এরপরও নতুন শিক্ষা অফিসার সকলকে সিলেবাস সংগ্রহ করতে বলছেন। সিলেবাসের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকদের কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করলেও শিক্ষা অফিসার তাদের বুঝিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। তবে কোনো কোনো প্রধান শিক্ষক সিলেবাস দেওয়াকে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। 

এদিকে বুধবার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও শিক্ষা অফিসার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন দামে সরবরাহ করছেন বলে অভিযোগ করছেন কয়েকজন প্রধান শিক্ষক। গত বছরও এভারেজ প্রশ্নপত্র ছিল ৬টা করে। এবার ১ম থেকে ২য় শ্রেণির মাত্র ৩টি প্রশ্নই ৭টাকা, ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির ১সেট প্রশ্নের দাম নিয়েছে ১২ টাকা করে। এক প্রধান শিক্ষক জানান, ৩ পাতা প্রশ্ন ফটোকপি করতেও ৭টা লাগে না। 

এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহে আলম জানিয়েছেন, সিলেবাস শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই করা হয়েছে। এটা থাকলে শিক্ষার্থীদের পাঠ সহজ হবে। মাদারীপুর জেলায় এই সিলেবাস রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে শিক্ষা বিভাগ থেকে এধরণের কোন সিলেবাস দেওয়ার কথা বলা হয়নি বলে তিনি জানান। অন্যদিকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবছর বেশি রাখার কারণ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, এবছর কাগজের দাম বেশি। অন্যান্য যায়গায় এরচেয়েও বেশি রাখা হয়

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে