বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সামাজিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চায় সোনারগাঁয়ের খন্দকার পনির। গত পাঁচ বছর যাবৎ নিজ উদ্যোগে গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ও কবরস্থানে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গাছের চাড়া রোপণ করেছেন তিনি।
পনির জানান, ছোট বেলা থেকেই বৃক্ষ রোপণ এবং কবিতা লেখার প্রতি দুর্বলতা ছিলো তার। বাবা মরহুম খন্দকার মতিউর রহমানে সঙ্গে জমির কাজে সহযোগিতা করার সুবাদে গাছের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তার। সেই থেকে বৃক্ষ রোপণ করা শুরু করেন। তিনি বলেন, একদিন এক কবরস্থানের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় মনে হলো কবরস্থানের পরিবেশটা কেমন যেনো খাঁ-খাঁ করছে। কোন গাছ গাছালি নেই। কাঠফাটা রোদে কবরস্থানের ছোট ঘাস গুলোও যেনো পুড়ে যাচ্ছে। সেই থেকে কবরস্থানে সুপারি গাছের চাড়া লাগাতে শুরু করেন। এরই মধ্যে তিনি সোনারগাঁয়ের সনমান্দী ইউনিয়নের হরিহরদী, সনমান্দী, দৌলতপুর, ফতেপুর, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপরর ও সাদিপুর কবরস্থানে সুপারির চাড়া রোপণ করেন। সুপারি গাছ রোপণ করলে জায়গা কম দখল হয়। এতে করে কবরস্থানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সুপারি বিক্রি করে কবরস্থানের আয়ও হয়। ছায়া সুনিবিড় সুন্দর একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে নিরবে গাছের চাড়া রোপণ করে চলেছেন সোনারগাঁয়ের সনমানদী ইউনিয়নের বাংলাবাজার গ্রামের নিবৃত্তচারী এই তরুণ বৃক্ষ প্রেমী খন্দকার পনির।
পনির কবরস্থান ছাড়াও রাস্তার পাশে রোপন করেন ফলজ বৃক্ষের চাড়া। এতে ফল এবং কাঠ দুটোই পাওয়া যায়। বৃক্ষ প্রেমী পনিরের এরই মধ্যে প্রার্থনা প্রেম ও অন্যান্য, একটি নীল সার্টের গল্প ও নির্জনে কোলাহলে নামে তিনটি কবিতার বইও প্রকাশিত হয়েছে। পনির তার বৃক্ষ রোপণ এবং লেখালেখির মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে খুবই জনপ্রিয় একজন মানুষ।