সারি সারি লেম্প পোস্ট পৌরসভা এলাকার পথচারীররা যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন সে জন্যই এই লেম্পপোষ্ট গুলো বসানো হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যার পর লেম্পপোষ্ট গুলোতে আলো জ্বলার কথা। কিন্তু যখন সন্ধ্যা হয়ে অন্ধকার নেমে আসে তখন আর লেম্প পোস্ট গুলোয় আলো জ্বলে না। লেম্প পোষ্ট গুলোর একেকটির একেক দশা।পৌরসভা এলাকার অধিকাংশ সড়কে লেম্প পোষ্ট থাকলেও জ্বলে না আলো।ফলে রাতের ঘন আধারে চুরি ডাকাতি, ছিনতাই ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রথম শ্রেনির পৌরসভা কালীগঞ্জ। এই শহরের অধিকাংশ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সড়কবাতি নেই। অনেক জায়গায় সড়কবাতি স্থাপনের জন্য ল্যাম্পপোস্ট বা বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলেও, সে গুলোতে স্থাপিত বাতিগুলো দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট রয়েছে। সড়কবাতি না থাকায় শহরবাসীকে বাজারের রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন সড়কে চলাচল করতে হয় ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্টানের আলোতে।মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে শহর অভিমুখে রাস্তার মাঝখান দিয়ে ডিভাইডারের ১৩ টি সারি সারি ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে। যেখানে ২৬ টি লাইটের মাধ্যমে রাতে আলো জলার কথা। কিন্তু ২৬ টি লাইটের মধ্যে ১৫ টি লাইট নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। বাকিগুলো জ্বলে অনেকটা নিভু-নিভু অবস্থায় পরিনত হয়েছে। কিন্তু পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কোন নেকনজর নেই। বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার রাস্তাগুলোতে সড়কবাতি না থাকায় অনেক এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে। বাসিন্দাদের চলাচলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঘটছে চুরি-ছিনতাইও। কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল সড়ক ফয়লা গ্রাম হয়ে হেলাই ব্রীজ পর্যন্ত কোন বৈদ্যুতিক খুটির লাইট জ্বলে না।মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশন সড়কে অধিকাংশ লাইট নষ্ট। যে কারণে রাতে অন্ধকারে বিপাকে পড়তে হয় রেলের যাত্রীদের।আর অন্ধকার থাকায়অনেক সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে নজর নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। এমনকি পৌরসভায় লাইট লাগানোর কথা বলার পর ও তারা আমলে নেয় না। চলতি মাসের কয়েকদিন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা মেলে অধিকাংশ সড়কের ১/২টা লাইট নিভু নিভু করে জ্বলে। সড়কের পাশে ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও সেগুলোর বাতি না থাকায় আলো জ্বলছে না। বর্তমানে সড়ক গুলোতে যে পরিমাণ সড়কবাতি জ্বলছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। কালীগঞ্জ শহর, বাণিজ্যিক এলাকা ও আবাসিক এলাকা গুলোতে সড়ক বাতি কিছুটা দেখা গেলেও পৌরসভার পাড়া ও মহল্লার অধিকাংশ সড়কে সড়কবাতি নেই। কালীগঞ্জ পৌরসভাটি ১৯৯০ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ৬.১১ কিলোমিটার নিয়ে পৌরসভাটি। যাহার আয়তন ১৫.৮৩ বর্গ কিঃ মিঃ।ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা ও বাণিজ্যিক শহর হিসাবে খ্যাত। এই শহরের অধিকাংশ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সড়কবাতি থেকেও যেন নেই। অনেক জায়গায় সড়কবাতি স্থাপনের জন্য ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও, সেগুলোতে স্থাপিত বাতিগুলো দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। পৌরসভার কাছে সঠিক হিসাব নেই তবে বেশির ভাগ সড়কবাতি দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে আছে। সড়কবাতি না থাকায় শহরবাসীকে বাজারের বাণিজ্যিক প্রতিষ্টানের আলো ও সড়কে চলাচলরত যানবাহনের লাইটে সাময়িক আলোয় আলোকিত।ঘটছে চুরি-ছিনতাই ও মাদক সেবীদের আড্ডা।
পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগর এলাকার বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ি মানু দাস বলেন, আমার এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কোন বাতি লাগানোর কিছুদিনের মধ্যে সব বাতি নষ্ট হয়ে যায়। সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়।কালীগঞ্জ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেনীর হিসেবে বাসিন্দাদের বসবাস করেন। কিন্তু বাস্তবে প্রথম শ্রেনির কোন আলামত দেখা মেলে না। পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফয়লা গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর রহমান বলেন, প্রায় ১৭ বছর অন্ধকারে ছিলাম এখনো আছি। হাসপাতাল আমাদের গ্রামের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয় হয়।হাসপাতালের কথা চিনাতা করে লাইট গুলো ঠিকঠাক ভাবে জালানো উচিত। আর মহল্লার গলির রাস্তাগুলোর সড়কবাতিতো জ্বলেই না। সন্ধ্যা নামলেই ভুতড়ে শহরে নেমে আসে। সড়কবাতি না থাকার কারণে এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার বাজার এলাকা হিসেবে পরিচিত জনতা মোড়,কালীবাড়ি মোড়, কাপুড়িয়াপট্টি, মুরগীহাটা,নলডাঙ্গা রোড, গান্নার রোড, ভূষণ স্কুল রোড,বৈশাখী মোড়, আগপাড়া, চাচড়া, হেলাই,ফয়লা মাষ্টার পাড়া, নিশ্চিন্তপুর, খয়েরতলা,বাকুলিয়া,কাশিপুর, ঈশ্বেরবা এলাকায় পৌরবাসীদের চলাচলে গভীর রাত পর্যন্ত। কাপুড়িয়াপট্টি মোড়ে এক ফল বিক্রেতা বলেন, দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেলে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। কিছু কিছু দোকানদার নিরাপত্তার জন্য দোকানের সামনে আলো জ্বালিয়ে রেখে যান। কালীগঞ্জ পৌরসভার কর্মরত অনেকেই বলেন, পৌরসভা কার্যালয়ে লাইট জ্বললেই হবে। পৌর শহর বিভিন্ন এলাকায় লাইট জ্বললো কি জ্বলল না তা দেখভাল কে করবে। ৪৫ টাকা মুল্যে লাইট কতদিনই চলবে এটা বুঝতে হবে। খোঁজ নিয়েদেখলে দেখা যাবে ওই লাইটেরই বিল হয়েছে ডাবলেরও বেশি।
কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এবং পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা কবীর হাচান বলেন,নানা কারণে ল্যাম্পপোস্ট কিংবা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা বালগুলো নষ্ট হয়ে থাকে। লাইটপোস্টে বাতি নষ্ট হয়ে গেলে সেগুলো সংস্কার করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নিম্নমানের লাইট ব্যবহার করার ব্যাপারটি তিনি অস্বীকার করেন।সারি সারি লেম্প পোস্ট পৌরসভা এলাকার পথচারীররা যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন সে জন্যই এই লেম্পপোষ্ট গুলো বসানো হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যার পর লেম্পপোষ্ট গুলোতে আলো জ্বলার কথা। কিন্তু যখন সন্ধ্যা হয়ে অন্ধকার নেমে আসে তখন আর লেম্প পোস্ট গুলোয় আলো জ্বলে না। লেম্প পোষ্ট গুলোর একেকটির একেক দশা।পৌরসভা এলাকার অধিকাংশ সড়কে লেম্প পোষ্ট থাকলেও জ্বলে না আলো। ফলে রাতের ঘন আধারে চুরি ডাকাতি,ছিনতাই ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অধিকাংশ বৈদ্যুতিক খোঁটিতে এখনও পুরাতন মডেলের লাইট গুলো লাগানো রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বাল্বহীন লেম্পপোস্ট। পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা গুলো সন্ধা নামে তখন এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোন লেম্পপোস্টে আলো জ্বলে না।কালীগঞ্জ পৌরভাটি প্রথম শ্রেনীর যে কারনে আধুনিকতার ছোয়া দেবার আশায় প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে শহরের প্রানকেন্দ্র বাজার সড়কে ডিভাইডার স্থাপন ও সড়ক বাতি লাগানো হয়।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ পৌর নাগরিকদের সেবার মান বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে সড়কে ডিভাইডার ও আধুনিক সড়ক বাতি স্থাপন করেন অতি নিম্নমানের।