সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে এলাকার চিহ্নিত তিন ছিনতাইকারীকে আটকের পর মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সুজানগরের জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। বিশেষ করে ছিনতাইকারীরা ছাড়া পেয়ে আবার ছিনতাই করার আশঙ্কায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু জানান, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার মান্দিয়ারকান্দী গ্রামের পাট ব্যবসায়ী মোঃ তকিুল ইসলাম একই উপজেলার নাজিরগঞ্জ বাজারে পাট কিনতে আসছিল। পথিমধ্যে নারায়নপুর নামকস্থান থেকে ৫/৬জন সশস্ত্র ছিনতাইকারী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার কাছে থাকা ৮লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনার পর পর উক্ত তরিকুল সুজানগর থানায় অভিযোগ করেন। থানা পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রিপন (৩০), সেলিম (৩২) ও শান্ত (৩০) নামে এলাকার চিহ্নিত তিন ছিনতাইকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আইন অনুযায়ী আটককৃত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ৩৯২ধারায় মামলা রুজু এবং তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করে জেলহাজতে পাঠানোর কথা। কিন্তু থানার অফিসার ইনচার্জ ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী পাট ব্যবসায়ী মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন আমার টাকা ছিনতাই হওয়ার পর এ বিষয়ে আমি সুজানগর থানায় অভিযোগ করি। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ওইদিন সকালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ওই তিন ছিনতাইকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে থানা পুলিশ ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ৮লাখ টাকা উদ্ধার করে আমাকে ফেরৎ দেয়। এর পর আটক ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবর রহমান বলেন পাট ব্যবসায়ী তরিকুল টাকা ফেরৎ পাওয়ার পর মামলা করতে রাজি হয়নি। সেকারণে আটক ছিনতাইকারীদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তিনি উৎকোচ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।