বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার ও বুধবার (২৬–২৭ আগস্ট) শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়েছেন। তাদের মূল দাবি নবম ও দশম গ্রেডের প্রকৌশলী পদে নিয়োগ সংক্রান্ত এবং ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহারে বৈধতার বিষয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তারা দীর্ঘ ছয় মাস ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যার কারণে বাধ্য হয়ে সড়কে আন্দোলনে নামতে হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্প্রতি এই দাবিগুলো যৌক্তিকভাবে যাচাই করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য একটি ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। কমিটিতে চারজন উপদেষ্টা ছাড়াও প্রকৌশলী সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি উভয় পক্ষের—বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের—সঙ্গেই সম্পর্কিত। “সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায্য সমাধান আমরা দেব। শিক্ষার্থীদের বার্তা হলো, তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান। আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব; সড়কে আন্দোলনের আর কোনো প্রয়োজন নেই,” তিনি বলেন।
ফাওজুল কবির আরও উল্লেখ করেন, আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল নেসকোতে একজন প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকির ঘটনায়। অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কমিটি শিগগিরই বৈঠক করে বিস্তারিত সুপারিশ তৈরি করবে।
কমিটির অন্য সদস্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, “যত দ্রুত সম্ভব আমরা বসে সমস্যার সমাধান করব। হয়তো আগামীকালই বৈঠক হবে।”
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির মূল বিষয়গুলো হলো: নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ও ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা, দশম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষা উভয়—বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।