হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। রোববার (৩১ আগস্ট) তিনি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
অনিয়মের অভিযোগের কারণে এর আগে তাকে ছুটিতে পাঠানো হয় এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সামনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। গত ১ জুলাই তিনি সরাসরি উপস্থিত হয়ে অভিযোগের জবাব দেন। এরপরও পদত্যাগের পথ বেছে নিলেন এই বিচারপতি।
রাষ্ট্রপতি ২৩ মার্চ বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগ পর্যালোচনা করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পদক্ষেপ নেয়। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ১২ জন বিচারপতিকে দুর্নীতি ও সাবেক সরকারপন্থী ভূমিকার অভিযোগে ছুটিতে পাঠান। তাদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি আখতারুজ্জামানও। একইসঙ্গে তাদের বেঞ্চ বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযোগ ওঠার পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্তের প্রক্রিয়া চলমান অবস্থাতেই পদত্যাগ করলেন তিনি।
বিচারপতি আখতারুজ্জামান সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক হিসেবে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
তখন থেকে তার বিচারিক ভূমিকা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। নতুন সরকারের অধীনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই এ পদত্যাগ বিচার বিভাগে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।