ভোলা জেলা সদর ও তজুমদ্দিন উপজেলায় একই দিনে একাধিক মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ একাধিক লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। এসব ঘটনায় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে।
থানা ও হাসপাতাল সুত্র জানায়, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোলা জেলা ইসলামি ঐক্য আন্দোলন সেক্রেটারি, ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ও সদর উপজেলা মসজিদের ইমাম মাওলানা আমিনুল হক নোমানী নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা তাঁর বসতঘরে ঢ়ুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন। হত্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে শহরে মিছিল বের হয়।
শনিবার বিকেলে তজুমদ্দিন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর লাদেন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাজীকান্দি গ্রামে ফজলু ও রেহানা দম্পতির ৮ বছর বয়সী কন্যা মনিফা বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। সে সময় মা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। খোঁজাখুঁজির পর শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে একই দিন দুপুরে সোনাপুর ইউনিয়নের চর লাদেন এলাকার কৃষক আঃ মান্নানের ৫ বছর বয়সী কন্যা মুনতাহা মাঠ থেকে একা বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর তাকে পথের পাশে পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। স্প্রীটবোট যোগে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক মুনতাহাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
চলতি সপ্তাহে ভোলা সদরে ছাত্র লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, লালমোহনে চোরকে চিনে ফেলায় বৃদ্ধাকে হত্যা, ভাসমান লাশ উদ্ধার ও মাওঃ নোমানীকে হত্যাসহ ভোলা জেলায় কয়েকটি আলোচিত মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে ভীতিকর পরিস্থিতি।
ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব হাসনাইন পারভেজ সাংবাদিকদের জানান , ভোলা সদরে আরিফ ও নোমানি হত্যাকান্ডের বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।