মাদারীপুরে আদালতের নির্দেশে দেড় মাস পর ঠিকাদার সৈয়দ তুহিন হাসানের লাশ উত্তোলন করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুমের উপস্থিতিতে পৌর কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। নিহত তুহিন হাসান ডাসার উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল হোসেনের বড় ছেলে।
পুলিশ ও প্রশাসনের সূত্র জানায়, গত ৩১ জুলাই রাতে নির্মানাধীন মাদারীপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিস ভবনের ভেতরে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তার। পরদিন পারিবারিকভাবে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও বিভিন্ন আলামত থেকে ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ হলে তুহিনের পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উত্তোলনের পর মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন আমার ছেলে নিরহ ছিল, যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন বিচার চাই।
নিহতের ছোট ভাই তুষার অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই মাদারীপুর শহরের প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ছিল। কয়েকজন মিলে টাকার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মাদারীপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বলেন, আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনে অন্য হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে।