সনাতন ধর্মাবোলম্বীদের সর্ববৃহত ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৮।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল নগরীর শ্রীশ্রী শংকর মঠ পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন নিশ্চিত করতে র্যাবের টহল, গোয়েন্দা নজরদারি, ফোর্স রিজার্ভ এবং সাইবার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগজুড়ে ইতোমধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরী ও সাজসজ্জার কাজ শেষ করা হয়েছে। দুর্গোৎসবকে ঘিরে বরিশাল মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশসহ অনান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জেলা পুলিশ সুপার মো. শরীফ উদ্দীন স্ব-শরীরে ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলা পরিদর্শন করে থানার ওসিদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে মাঠে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও র্যাব সদস্যরা।
বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ভানু লাল দে জানিয়েছেন-এ বছর বরিশাল নগরীর ৪৭টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী বলেন-এবার জেলায় ৬৪০টি এবং বিভাগে ২ হাজার ১২৩টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজা মন্ডপ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায়। ওই উপজেলার ১৭৪টি মন্ডপে এবার সার্বজনীন দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগৈলঝাড়ার মধ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সবচেয়ে বেশি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বারপাইকা সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে। প্রতিটি মন্ডপে সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবোলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হবে।