কিশোরগঞ্জে নিকলী উপজেলাটি একটি হাওড় অধ্যুষিত উপজেলা। সেই উপজেলায় লোক সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার। ৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে এই উপজেলাটি গঠিত। এর মধ্যে ৩ টি ইউনিয়ন হাওরে অবস্থিত। এখানে প্রধান শিক্ষক ৬০ জন থাকার কথা থাকলেও শূন্য পদ রয়েছে ২৯ জন। ৩১ জন প্রধান শিক্ষক আছেন। শূন্য পদ ২৯ জন প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত হিসাবে স্কুল কোনো রকম শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। ১০ জন শিক্ষক চলতি দায়িত্বে রয়েছেন। স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে তাদের লেখা পড়া একে বাড়ে হচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ। বিশেষ করে শিংপুর ও ছাতিরচর ইউনিয়নে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সংকট রয়েছে প্রকট। বর্ষার সময় ছাতিরচর ইউনিয়নে একটি ভ্রাম্যমান স্কুল রয়েছে। সেখানে নৌকার মধ্যে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করিয়ে থাকেন এনজিও নিয়োগকৃত শিক্ষকরা। তারা স্বল্প বেতনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সব মিলিয়ে নিকলী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান অন্যান্য উপজেলা হতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে অনেক অভিভাবকরা মনে করেন। নিকলী উপজেলার শিক্ষাকর্মকর্তা মোঃ আবু সিদ্দিক গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, প্রধান শিক্ষক শূণ্য পদ থাকার কারণে কিছুটা লেখাপড়ার বিগ্ন হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।