পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর হাত- পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় এক ভ্যান চালকের মরদেহ করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাশে মুনসিদপুর এলাকায় একটি ঝোঁপের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া ওই ভ্যান চালকের নাম ঈমান আলী প্রামাণিক (৬০)। তিনি ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনসিদপুর ( দাশুড়িয়া তেতুল তলা) এলাকার জয়নাল আলী প্রামাণিকের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ঈমান আলী প্রামাণিক সারারাত ধরে ভ্যান চালাতেন, সকালে বাড়ি ফিরতেন। প্রতিদিনের মত সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু পরদিন সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও সেদিন আর বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনরা। ওই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর পুলিশের মাধ্যমে বাড়ির আশপাশে ঈমান আলীর লোকেশনের ব্যাপারে জানতে পারেন তারা। পরে স্বজনরা বাড়ির আশপাশে বিভিন্ন ঝোঁপ ঝাঁড়ে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মহাসড়কের পাশে ঝোঁপের ভিতরে ঈমান আলীর মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় তার হাত- পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় খালি গায়ে উপর হয়ে পড়েছিলেন তিনি। স্থানীয়দের ধারণা ঈমান আলীকে হত্যা করে দুষ্কৃতিকারীরা তার ভ্যান নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর জানান, ওই ব্যক্তি তার একটি ভ্যানসহ দু'দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা গেছে। আজ স্বজনরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাস্তার পাশে ঝোঁপের ভিতরে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।