পাবনার সাঁথিয়ায় প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাত করায় সাঁথিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার রকিবুল ইসলামকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজু তামান্না।সেই সাথে আত্মসাত করা দুই কিস্তির ১৩ হাজার ৯০০ টাকাসহ মোট ৪৩হাজার ৯০০টাকা বুধবার(২২ অক্টোবর)উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় প্রতিবন্ধীর মায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সাঁথিয়া পৌরসভার চককোনাবাড়িয়া মহল্লার রাজিব হোসেন ও রুকসানা খাতুন দম্পতির প্রতিবন্ধী মেয়ে রাফিয়া খাতুনের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে নওয়ানী গ্রামের সাবেক কমিশনার রকিুবুল ইসলাম তাদের কাছ থেকে ২০২৪ সালে পাঁচ হাজার টাকা নেন। প্রতিবন্ধী রাফিয়া খাতুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক তথ্য যাচাই-বাছাই ও তদন্ত সাপেক্ষে সরকারি আর্থিক সহায়তা অনুমোদিত হয়। কিন্ত কমিশনার রকিবুল ইসলাম ভুক্তভোগীর মোবাইল নাম্বার আবেদন পত্রে না দিয়ে তার ছেলের নগদ মোবাইল নাম্বার দেন। ভাতা অনুমোদনের পর থেকে ওই নগদ নাম্বারে দুই কিস্তিতে ১৩ হাজার ৯০০ টাকা উত্তোলন করেন রকিবুলের ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী রাফিয়া খাতুনের মা রুকসানা খাতুন গতকাল(২১অক্টোবর) সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার(২২অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে রকিবুল ইসলামকে ডাকা হয়। সেখানে অভিযুক্ত রকিবুল ইসলাম ভাতার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করলে জরিমানার ৩০ হাজার টাকা এবং আত্মসাত করা দুই কিস্তির ১৩ হাজার ৯০০ টাকাসহ মোট ৪৩ হাজার ৯০০টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিবন্ধীর মা রুকসানা খাতুনের হাতে তুলে দেন।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজু তামান্না বলেন, সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার রকিবুল ইসলাম প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে একটি অভিযোগ আমার দপ্তরে আসে।তার প্রেক্ষিতে শুনানী নেয়া হয়।শুনানিতে অভিযুক্ত রকিবুল ইসলাম স্বীকার করেন গত এক বছর যাবত ভাতার টাকা তার ছেলের নগদ নাম্বারে জমা হয়েছে।তার ছেলে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রকিবুল ইসলাম ক্ষমা চান।শুনানি শেষ প্রতিবন্ধীর দুই কিস্তির টাকা ভুক্তভোগীকে ফেরত দেওয়া হয়।