রবিশস্য হুমকির মুখে

পুঠিয়ায় অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় হাজার জমিতে জলাবদ্ধতা

কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী
| আপডেট: ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩১ এএম | প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩১ এএম
storage/2025/october/23/news/image_68f9bda816b0f-1761197480.jpg
রাজশাহীর পুঠিয়ায় যত্রতত্র অবৈধভাবে উপজেলা জুড়ে পুকুর খনন করায়। উপজেলায় থাকা খাল-বিল নদী-নালার পানি পারাপারে মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই উপজেলা বিভিন্ন বিলে ১ হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে চলতি রবিশস্য মৌসুমে জলাবদ্ধতা হওয়া জমিগুলো অনাবাদি কিংবা পরিত্যক্ত হয়ে থাকার সম্ভবনা বেশি রয়েছে।

 দেখা গেছে, ভালুকগাছি,জিউপাড়া,শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন তিনটিতে গত ১০ বছরে ব্যাপকহারে আবাদি তিন ফসলী জমিতে বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে। উপজেলা জুড়ে যত্রতত্র অবৈধভাবে পুকুর হওয়ায়। আবাদি জমি পরিমাণ দিনদিন কমে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা হয়ে আছে, কান্তার বিল ৩শত বিঘা, গোটিয়া ২শত, শিলমাড়িয়া সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা হয়ে আছে। সেখানে ৪শত, জিউপাড়া বড় বিলে ১শত বিঘার জমিতে জলাবদ্ধতা আছে।

 এগুলো স্থান বাদেও বিভিন্ন স্থানে শুধুমাত্র পুকুরের জন্য জমি জলাবদ্ধতা আছে। আবার কোনো কোনো স্থানে খাল-বিল নদী-নালার প্রবেশ মুখে পুকুর খনন করায় পানি পারাপার হতে পাড়চ্ছে না। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, সঠিক সময়ের ভিতরে পানি বাহির করে দিলে আগামী রবিশস্য মৌসুমে জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবে। আর না বাহির করতে পাড়লে, চাষ-আবাদ করা সম্ভব হবে না। ভালুকগাছি কান্দার বিলের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, পুকুর করে কিছু মানুষের উপকার হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।

 শিলমাড়িয়া সড়গাছি বিলে কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকারিভাবে সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে কঠোর হস্তে জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। তাও আবার দ্রুত না করতে পাড়লে,এলাকার কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। উপজেলা জুড়ে যেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খাল-বিল নদী-নালার পানি জরুরি ভাবে বাহির করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত সালমান বলেন,জরুরিভাবে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য উপজেলাজুড়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। কিছুদিনের ভিতরে জমিতে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে