ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর চর গোপালপুর মৌজার মুজিব কেল্লার বিপরীত পাশের জলমহালে গড়া আড়াআড়ি বাঁধটি শুক্রবার সকালে অপসারন করেছেন প্রশাসন। উপজেলা পদ্মা নদীর উক্ত পয়েন্টে দু’টি চরের মধ্যবর্তি এলাকায় প্রায় এক কি.মি. জলমহাল জুড়ে বাঁশ ও জাল দিয়ে ঘিরে মৎস্য নীধনের আড়াআড়ি বাঁধ নির্মান করেছিল স্থানীয় এক প্রভাবশালী আঃ হক মৃধা (৪৫)। গত ১৫দিন ধরে এ আড়াআড়ি বাঁধের মাধ্যমে পদ্মা নদীর সকল প্রকার মৎস্য প্রজাতী নীধনযজ্ঞ চলছিল বলে অভিযোগ।
এ খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট যায়েদ হোসাইনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পদ্মা নদীর মৎস্য নীধনের উক্ত বাঁধটি অপসারন করা হয়। এ বাঁধ অপসারন অভিযানের অন্যরা হলেন-উপজেলা মৎস্য অফিসার নাঈম হোসেন বিপ্লব, চরভদ্রাসন থানার এসআই রতন কুমার মন্ডল, মোবাইল কোর্ট পেশকার রাসেল মুন্সি, পুলিশ কনস্টেবল ও কর্মচারীবৃন্দ।
জানা যায়, স্থানীয় এক প্রভাবশালীর নেতৃত্বে পদ্মা নদীর উক্ত পয়েন্টের দু’টি কাঁশবন চরের মধ্যবর্তি জলমহালে আড়াআড়ি বাশের সারি পুতে বাঁধ নির্মান করা হয়েছিল। এসব বাঁশের সারির পানির নিচের অংশ জাল দিয়ে ঘিরে মৎস্য চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ আড়াআড়ি বাঁধের মাঝে মধ্যে ফাঁদ জাল পেতে রাখা হয় এবং গভীর পানির পয়েন্টে ভেসাল পুতে সমস্ত প্রকার মাছ আটক করা হচ্ছিল। এতে উক্ত বাঁধের মাধ্যমে পদ্মা নদীর মৎস্য প্রজাতী নীধনযজ্ঞ চালানো হচ্ছিল। তাই শুক্রবার আকস্মিক অভিযান চালিয়ে মৎস্য নীধনের আড়াআড়ি বাঁধটি অপসারন করেন প্রশাসন। একই সময় পদ্মা নদীতে গড়া আরও একটি মাছের ঘের ও ১০টি চায়না দোয়ারী ধ্বংস করেন প্রশাসন। পরে জব্দকৃত অবৈধ জালগুলো পদ্মা পারে এনে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় লেও জানা যায়। এ ব্যপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) যায়েদ হোসাইন বলেন, “ মৎস্য প্রজাতী রক্ষায় পদ্মা নদীতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপজলা পদ্মা নদীর অন্যান্য পয়েন্টে মৎস্য শিকারের যে বাঁধগুলো আছে তা পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করা হবে”।