কাহারোলে কান্তা ইক্ষু খামারে আঁখের বাম্পার ফলন

এফএনএস (মোঃ আব্দুল্লাহ; কাহারোল, দিনাজপুর) :
| আপডেট: ২ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:৩১ পিএম | প্রকাশ: ২ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:৩১ পিএম
কাহারোলে কান্তা ইক্ষু খামারে আঁখের বাম্পার ফলন

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় এ বছর সেচিক এর অধীন কান্তা ইক্ষু খামারসহ তিনটি ইক্ষু খামারে এ বছর আঁখ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। সেচিক এর এই খামারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আঁখ চাষীরা আঁখ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আঁখের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও অন্যান্য সবজি চাষ করে দ্বিগুণ লাভ পাচ্ছেন কৃষকেরা। কাহারোল উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী সেচিক এর কান্তাসহ বিভিন্ন ফার্মে আঁখ চাষ হচ্ছে ৫০০ একর জমিতে এর মধ্যে ৪৫,৪৬ ডিএসআরআই-৪৪,৪৫,৪৬,৪৮ ঈশ্বরদী-৩৭,৩৯ এই জাতগুলি চাষ করা হয়েছে। আঁখ একটি বর্ষাকালীন লাভজনক ফসল হিসেবে ধরা হলেও গত কয়েক বছর সেতাবগঞ্জ সুগার মিল বন্ধ থাকার কারণে কিছুটা আঁখের আবাদ কম হয়েছিল। আঁখ চাষীরা জানান, ফুলকপি, টমেটো বিক্রি করে কৃষকেরা আঁখের পাশাপাশি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেছেন। প্রতি বিঘা আঁখ চাষে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।  আর আঁখ বিক্রি করে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। ফলে ১ বিঘা জমিতে ১ লাখ থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। সদরপুরের কৃষক হান্নান বলেন, আমরা সুগার মিলের জমি লীজ নিয়ে আঁখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ফুলকপি, বাঁধা কপি আবাদ করে ভালোই লাভ হচ্ছে। এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান, হাসান আলী, জসিমউদ্দিন, হীরালাল সরকার সহ অনেক কৃষক জানান, আঁখের ফলন ভালোই হচ্ছে। কিন্তু সেতাবগঞ্জ সুগার মিল বন্ধ থাকার কারণে কান্তা ইক্ষু ফার্মের আঁখ গুলি ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে সরবরাহ করার কারণে সময় মত আমরা পুঁজি না পাওয়ায় ঠিকমত আবাদের আঁখগুলি দিতে পারি না। কৃষকদের দাবী আঁখ উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু মিল বন্ধ থাকার কারণে আঁখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও মিল কর্তৃপক্ষের দাবী দ্রুত বন্ধ মিল চালু করতে হবে। কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, আঁখ আমাদের দেশের অন্যতম লাভজনক ফসল। তবে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার ছাড়া কৃষকেরা সঠিক ফলন পাচ্ছিল না তাই আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা জমির সঠিক ব্যবহার, জমি প্রস্তুত, সার, বীজ এবং দিনমজুরের ক্রমাগত খরচ বাড়তে থাকায় অনেকেই আঁখ চাষ থেকে সরে আসেন কিন্তু আমরা কৃষকদের কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষকদের প্রশিক্ষণ সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ, কারিগরি সহায়তা দেওয়াই নতুন করে আঁখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক। 

সেচিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবুল বাশার বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী বছর আঁখ চাষের পরিমাণ আরো বাড়বে যদি মিল চালু থাকে। তিনি আরো বলেন, আঁখ চাষ শুধু কৃষকের জন্য নয়, দেশে চিনি শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে