ময়মনসিংহে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দম্পতিসহ ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

ময়মনসিংহে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দম্পতিসহ তিনজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০১৪ সালে পুলিশের সাথে পুলিশের স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে খুন হওয়া পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় পুলিশ দম্পতিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক হারুন অর রশিদ। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ভবানীপুর এলাকার মোনাসেফ আলীর ছেলে কনষ্টেবল মো. আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী নাসরিন নেলী।

অন্যদিকে ২০২২ সালে তারাকান্দা থানায় প্রতারণা করে স্বর্ন চুরির ঘটনায় মোছা. কুলছুম (৫৮) হত্যা মামলায় রুবেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ড এবং দ্বীন ইসলাম নামে অপর আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিজ্ঞ বিচারক জয়নাব বেগম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক হারুন অর রশিদ ও অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিজ্ঞ বিচারক জয়নাব বেগম এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে পুলিশের স্ত্রীর সাথে পরকিয়া প্রেমের জেরে ময়মনসিংহ নগরীর কাঁচিঝুলি এলাকায় প্রেমিকার ভাড়া বাসায় পরকিয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হন পরকীয়া প্রেমিক পুলিশ সদস্য কনষ্টেবল সাইফুল ইসলাম। খুনের পর বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ গুম করতে গিয়ে নগরীর টাউন হল মোড়ে লাশসহ হাতেনাতে পুলিশের হাতে আটক হন অভিযুক্ত পুলিশ দম্পতি। ঘটনার পর নিহত সাইফুলের মা মোছাঃ মুলেদা বেগম কোতোয়ালি থানায় কনষ্টেবল আলাউদ্দিন, আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন নেলীসহ আরো অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক হারুন-অর রশিদ।

অন্যদিকে ২০২২ সালে তারাকান্দা থানায় প্রতারণা করে স্বর্ন চুরির ঘটনায় মোছা. কুলছুম (৫৮) হত্যা মামলায় রুবেল মিয়াকে (৩০) মৃত্যুদন্ড এবং অন্য আসামী দ্বীন ইসলামকে (১৯) যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিজ্ঞ বিচারক জয়নাব বেগম।