ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার অভিযোগ

এম এম মামুন; রাজশাহী
| আপডেট: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:০২ পিএম | প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার অভিযোগ
রাজশাহীর পবা উপজেলায় ‘মিথ্যা মামলা’ ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বায়া বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সৈয়দা রেহানা আশরাফী নামের এক নারী তাঁর বিরুদ্ধে বাউন্ডারি দেয়ালের কাজ না করার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করেছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শাহ মখদুম থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনায় তাঁর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক সুনাম মারাত্মক ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি রেহানা আশরাফীর জমির আট ফুট অংশ দখল করে রাস্তা তৈরি করেছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর জমির দখলকৃত অংশ উদ্ধারে রেহানা তাঁর কাছে সহায়তা চান। তিনি সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে জায়গাটি উদ্ধার করে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে দেন। রফিকুলের দাবি, বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের জন্য রেহানা তাঁকে মাত্র সাত হাজার টাকা বিকাশে দেন। কিন্তু মামলায় ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে ৩২ হাজার টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর ভাষ্য, বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণে মোট ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং এ হিসেবে তিনি উল্টো ওই নারীর নিকট ৩৩ হাজার টাকা পাওনা। তিনি অভিযোগ করেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে রেহানা আশরাফীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করা হয়েছে। তদন্ত ছাড়াই পুলিশ তাঁকে আটকেরও প্রতিবাদ জানান তিনি। এ বিষয়ে শাহ মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমা মুস্তারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,“অভিযোগের ভিত্তিতেই আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। মামলার কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তাকে আটক করা হয়। কাউকে হয়রানির উদ্দেশ্যে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। মামলা আদালতে বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা ঠিক হবে না।” সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নওহাটা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও সানোয়ার হোসেন।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে