কিশোগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলীসহ হাওর অধ্যুষিত উপজেলা গুলোতে ইরি বোরো জমি প্রস্তুত করার সময়ই সারের সংকটের কারণে লক্ষাধিক কৃষকের জমিতে ধান অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেক কৃষক মন্তব্য করেন। জানা যায়, বিশেষ করে এমওপি, ডিএপি সারের সংকট শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সারের বিষয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করলেও এর কোনো পরিবর্তন আসছে না। গতকাল সকালে বাজিতপুর ও নিকলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরে গিয়ে দেখা যায়, ডিলার ও সাব-ডিলাররা এসব সারের কারণে কৃষকের কোনো উপকার করতে পারছে না। কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে আলাপ করলে তারা বলেন, একদিকে ধানের জন্য ডিএপি ও এমওপি সারের খুব বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সরকারের বরাদ্দ কম থাকার কারণে এবছর ধান ও ভূট্টা জমি অনেক খালি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।