নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সাধারণ সভা ও কেমিস্টস সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ নভেম্বর সৈয়দপুর ড্রীম প্লাস হোটেল এন্ড রিসোর্টে ওই সাধারণ সভা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এটির আয়োজন করে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নীলফামারী জেলা শাখা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন,বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি হাকীম মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ।
বক্তব্য বলেন,সংগঠনের ঢাকা জেলার সভাপতি সফি উদ্দীন আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি যথাক্রমে ইকবাল লস্কর,নাসির উদ্দীন মিলন,,দ্বীন মোহাম্মদ আলী,এটিএম মোরশেদুল ইসলাম,মারুফ এলাহীসহ অনেকে। এছাড়াও বক্তব্য বলেন,নীলফামারী জেলা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সোহেল পারভেজ,সংগঠনের নাটোর জেলার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া,বগুড়া জেলার সভাপতি এ কে এম ফজলুল করিম টিপু,কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি আতাউর রহমান,লালমনিরহাট জেলার সভাপতি আব্দুল হামিদ,জয়পুরহাট জেলার সভাপতি জুয়েল আহমেদ,পঞ্চগড় জেলার সভাপতি সালেকুজ্জামান,জলঢাকা উপজেলার সভাপতি মাহবুবার রহমান মনি,সৈয়দপুর উপজেলার সভাপতি গোলাম মোস্তফা,ডিমলা উপজেলার সভাপতি আবু মর্তুজা আহমেদ লেলিন, ডোমার উপজেলার সভাপতি হামিদুর রহমান,রংপুর জেলার সভাপতি আব্দুল কাদের,কিশোরগঞ্জ উপজেলার সভাপতি স্বপনসহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন,সাধারণ সভা পরিচালনা কমিটির আহবয়ক ও নীলফামারী জেলা কমিটির সহসভাপতি মোঃ তোবারক আলী।
সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য বলেন,সভার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক হাকীম মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ। তিনি বলেন,আমাদের সংগঠনের মধ্যে কারো সাথে কারো কোন বিরোধ নেই। আমরা যারা চিকিৎসক এবং ব্যবসায়ি তারা সততার সাথে ব্যবসা করে যাব। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুদ নিয়ে আমরা প্রায়ই সময় সমস্যায় পড়ে থাকি। কেম্পানিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুদ সময় মত নিয়ে যায় না। ফলে ওই ওষুদ দোজানেই রাখতে হয়। হঠাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হলে হয়তো কোন কোন দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুদ পাওয়া যায়। তখন তারা কোন কৈফিয়ত বা অজুহাত শুনে সরাসরি জরিমানা করে থাকেন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ওষুদ দোকান মালিকরা। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের সব সময় শতর্ক থাকতে হবে। ভেজাল ও নকল কোন ওষুদ দোকানে কেউ রাখবেন না। যারা ভেজাল ও নকলের সাথে জঢিত তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। অতিরিক্ত কোন ওষুদের দাম নেয়া যাবে না। সবাইকে মনে রাখতে হবে আমরা মানবসেবা করছি। মানুষ আমাদের আচার আচরণে মুগ্ধ হবে।
কেউ যেন আমাদের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে মুখ ফিরিয়ে না নেয় তা খেয়াল রাখতে হবে। সভায় অংশ নেয় এক সারা দেশ থেকে প্রায় সহস্রাধিক কেমিস্টস এবং ওষুদ ব্যবসায়ি।