কৃষকদের পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনের সুবিধার্থে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এগ্রো বিজনেস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার উপজেলার নলকুড়া রাবারড্যাম এলাকায় এ বিজনেস সেন্টারের উদ্বোধন করেন জাইকার বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে। পরে মহারশি ফ্লাগশীপ উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দা আসমা খাতুন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাইকার বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে। আরও বক্তব্য রাখেন জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি সোজি ইজোমি, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী জাবেদ করিম, এলজিইডির ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) পরিচালক মো. সানিউল হক, শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মহারশি রাবারড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ প্রমুখ। পরে অতিথিগণ এলজিইডি ও জাইকার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত মহারশি নদীর রাবার ড্যাম, রাবার ড্যাম সংযোগ সেতু, মহারশি হেডার ট্যাংক, মহারশি গোডাউন, এগ্রো বিজনেস সেন্টার ও চাতাল, পাইপলাইনসহ অন্যান্য উপপ্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন এবং উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানায়, ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) আওতায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এগ্রো বিজনেস সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া এই মহারশি ফ্লাগশীপ উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীতে রাবারড্যাম, পানির সঞ্চালন পাইপলাইন ও সমিতি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে আশপাশের ১ হাজার ৯৩ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় এসেছে। এতে উপকৃত হচ্ছেন প্রায় ১ হাজার ৫০০ কৃষক। এই মহারশি ফ্লাগশীপ উন্নয়ন উপ-প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।