জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভার ভাসিলা মহল্লায় এক তরুণীকে ভাড়া নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত ৩০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমারগাড়ি মাঠে।
জানাগেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মনঝার এলাকার গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আঃ মাজেদের স্ত্রীকে মক্ষিরানী হিসেবে ভাসিলা গ্রামের লালচানের ছেলে সুমুন(৩০) ও তিন সহযোগী মিলে ওই রাতে মেয়েটিকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে সুমনের আরও চার সহযোগী ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মেয়েকে জোর করে গণধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী তরুণী উপজেলার মনঝার বাজার গুচ্ছগ্রামের আব্দুল মাজেদের স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩৫)।
অভিযোগ সুত্রে ও স্বামী আঃ মজিদ জানা যায়, ভাসিলা গ্রামের লালচানের ছেলে সুমন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী আব্দুল মাজেদের সাথে যোগাযোগ করে তার স্ত্রীকে এক রাতের জন্য নিয়ে যায় । চুক্তি ছিল তিনজনের জন্য। কিন্তু পরে খাবার আনার কথা বলে সুমন আরও চারজনকে নিয়ে আসে। এরপর ওই তরুণী এবং তার স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে জোরপূর্বক সাতজন মিলে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার সকালে সুমনের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে তারা অস্বীকার করে। পরে ওই মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ০১ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে ওই মেয়ে তার বোন ও স্বামী ক্ষেতলাল থানায় এসে বিষয়টি ওসিকে জানান। খবর পেয়ে ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং আলামন সংগ্রহ করেন। তরুণীকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী সাতজনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করেছে। তাৎক্ষণিক অভিযানে ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।