শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষার কার্যক্রম চালু করলেন ইউএনও

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : | প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষার কার্যক্রম চালু করলেন ইউএনও

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বন্ধ শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কার্যক্রম চালু করলেন ইউএনও । সারাদেশের ন্যায় শেরপুরের শ্রীবরদীতেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দাবি আদায়ে শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষা বর্জন করেন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ওই বিদ্যালয়ের বাইরে পরীক্ষার দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে সকাল ১১টার দিকে শ্রীবরদী  মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষার কার্যক্রম চালু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নূরন নবী সহ অনেকেই।

জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার ১৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বুধবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন এবং বৃহস্পতিবারও তা অব্যাহত রেখেছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা, শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন কার্যকর করা, টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড বকেয়া পরিশোধ এবং আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের অগ্রিম বেতন সুবিধা পুনর্বহাল। শিক্ষকদের এমন হঠাৎ কর্মবিরতি ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

অভিভাবক খায়রুল হক বলেন, হঠাৎ করে শিক্ষকরা পরীক্ষা বন্ধ করবে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলনে শিশুরা মানসিক চাপে পড়ে। শিক্ষকরা মানুষ তৈরির কারিগর বলা হলেও পরীক্ষাবর্জন করে আন্দোলন চলতেই পারে এবং এটা উচিতও না। অপর অভিভাবক ইসমাইল হোসেন বলেন, "আমি বলবো এটা আন্দোলন না, এটা শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা। সরকারকে কঠোর হতে হবে। কিছু হলেই আন্দোলন তা ঠিক না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষকদের অবিলম্বে পরীক্ষায় ফেরার চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে কর্মবিরতি বা শাটডাউন অব্যাহত থাকলে সরকারি চাকরি আইন, আচরণবিধি ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে