দিঘলিয়ায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

এফএনএস (সৈয়দ জাহিদুজ্জামান; দিঘলিয়া, খুলনা) : | প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
দিঘলিয়ায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

দিঘলিয়া উপজেলায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারীদের সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর)  দুপুর ১২ টায় দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর প্রতিনিধি এস আই আদর্শ, দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ কুমার বিশ্বাস, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ কিশোর আহমেদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মাহমুদা সুলতানা, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, আরো উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু সৌমিত্র দত্ত, দিঘলিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, দিঘলিয়া এ কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাসসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, নারী উদ্যোক্তা, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে ৫ জন জয়িতাকে সন্মাননা দেওয়া হয়। ৫ জন জয়িতারা হলেন (১) অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী চন্দনীমহল নিবাসী ইকরামুল গাজীর কন্যা সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পলি আক্তার, (২) শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে দিঘলিয়া গ্রামের আঃ বারিক শেখের কন্যা খাদিজা পারভিন (শারমিন), (৩) সফল জননী হিসেবে দিঘলিয়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর কন্যা মোছাঃ শামছুন নাহার, (৪) নির্যাতনের দুঃখ মুছে জীবন সংগ্রামে জয়ী হাজীগ্রাম নিবাসী কেরামত মোল্যার কন্যা মাবিয়া খাতুন এবং সমাজ উন্নয়নে অনন্য অবদান রেখেছেন যে নারী সেনহাটি সরিষাপাড়া নিবাসী মোহাম্মদ আলীর কন্যা সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আলেয়া পারভীন। এর আগে একটি র ্যালী উপজেলা পরিষদের সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন বেগম রোকেয়া একজন মহিয়সী নারী। তার সময়ে মানুষের মধ্যে প্রচলন ছিল মেয়েরা চার দেয়ালের মধ্যে থাকবে। এটাই পর্দা। মুসলমানদের ধ্যান ধারনাকে পাল্টে দিয়ে মুসলমান মেয়েদের সতর শরিয়াতের পর্দা মেনে সকল কর্মক্ষেত্রে ভূমিকা রাখাই বেগম রোকেয়ার শিক্ষা। বেগম রোকেয়ার শিক্ষা নারীদের শালীনতা বজায় রেখে নারী জীবনের মান উন্নয়ন। শালিনতাহীন জীবনযাপন নয়। সমাজে মিলাদের কর্মের মূল্যায়ন করতে হবে। স্মামী হিসেবে স্ত্রীর, পুত্র সন্তান হিসেবে মায়ের, শশুর শাশুড়ী হিসেবে পুত্র বধুর। আর এ সন্মান ও মর্যাদার স্থান হোক নিজ নিজ পরিবার।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে