ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভালুকা উপজেলা বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটারদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। স্থানীয় বিএনপির একটি বৃহৎ অংশ মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবীতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল সহ নানা কর্মসুচী অব্যহত রেখেছে। এদিকে বিএনপির মনোনয়ন সঠিক ব্যক্তিকে না দেয়ায় ভালুকা আসনে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। তারা সাধারণ ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছে। ফলে, এ আসনে জামায়াত ইসলামীর ভোটের পাল্লা দিন দিন ভারী হচ্ছে। জামায়াতের প্রার্থী সাইফুল্লা পাঠান দাড়িপাল্লার ভোট বাড়াতে রাতদিন ভোটারদের বাড়ী বাড়ী যাচ্ছেন। তিনি উপজেলার পৌরসদর সহ ১১ টি ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ভালুকা আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেয়। এদিকে জনপ্রিয় সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, ক্লিন ইমেজ ও মাঠের সার্বজনীন নেতা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং ভালুকা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুর্শেদ আলমকে মনোনয়ন না দেয়ায় স্থানীয় বিএনপির একটি বড় অংশ ও সাধারন ভোটারদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। সাধারণ মানুষের অভিমত আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুর্শেদ আলম ক্নিন ইমেজের একজন মানুষ। সকল মহলের কাছে তার গ্রহযোগ্যতা রয়েছে। একজন মানবিকতা, পরোউপকার ও দানবীর হিসাবে ইতিমধ্যে তিনি উপজেলাব্যাপি পরিচিতি লাভ করেছেন। ফলে তিনি ভোটের রাজনীতিতে অন্য যে কোন প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে আছেন। কাজেই মুর্শেদ আলমকে মনোনয়ন দিলে বিএনপির হারানো আসনটি সহজেই পুনঃউদ্ধার সম্ভব। এসব দিক বিবেচনায় এলাকার শিক্ষিত সমাজ,ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ভালুকা আসনের মনোনয়ন পরিবর্তন করে মুর্শেদ আলমকে দেয়ার পক্ষে দাবী তুলছেন।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু মনোনয়ন পাওয়ার পর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। ধানের শীষের ভোট ভাড়ানোর জন্য আ’লীগের নেতাকর্মীদের কাছে টানছেন। আ,লীগ নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে ভোট কেন্দ্র পাহাড়া কমিটি গঠন করছেন। এতে বিএনপির নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিএনপির ত্যাগী কর্মীরা মনে করেন, বিগত ১৬ বছর যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতন জুলুম করে জেল খাটিয়েছে তারাই এখন ধানের শীষের নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে। এতে দলীয় কর্মকান্ডের প্রতি নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মীরা জিমিয়ে পড়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আ’লীগ নেতা জানান, আ’লীগের ভোটারগণ কখনোই ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিবে না,দিতে পারে না। আমাদের নেতাকর্মীদের মামলার ভয় দেখিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করানো হচ্ছে। ফলে তারা ঘরছেড়ে পালিয়ে থাকার চেয়ে ধানের শীষের ভোট চেয়ে প্রকাশ্যে আসতে পারছেন। ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু ও মনোনয়ন বঞ্চিত মুর্শেদ আলম তারা আলাদা আভাবে সভা সমাবেশে ধানের শীষের্র ভোট চাইছেন। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুর্শেদ আলম উপজেলার পৌর সদর সহ ১১ টি ইউনিয়নে সাধারন মানুষের মাঝে প্রায় দেড় লক্ষ শাড়ী লুঙ্গি বিতরন করছেন। তিনি চুরান্ত মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার সর্বত্রই সাধারণ ভোটারদের আলোচনায় মুর্শেদ আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ আসনে জামায়াত ইসলামী ভোটের রাজনীতিতে আগের চেয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। মুর্শেদ আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিএনপির ভোট দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও জামায়াত ইসলামী ।