নদীর নাব্যতা সংকট এবং নদীর বুকে জেগে ওঠা চর ও ডুবোচরের কারণে মীরগঞ্জ-মুলাদী ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নির্ধারিত চ্যানেল ব্যবহার করতে না পেরে বিকল্প ও দীর্ঘ পথ ঘুরে ফেরি চলাচল করায় জ্বালানি খরচ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এতে প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে বিপুল অঙ্কের লোকসান।
ফেরি ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি শীত মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় নদীর বুকে একাধিক চর ও ডুবোচর জেগে উঠেছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার নদীপথের মধ্যে এসব বাধার কারণে ফেরিকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঘুরে মীরগঞ্জ থেকে মুলাদী প্রান্তে পৌঁছাতে হচ্ছে। একইভাবে মুলাদী প্রান্ত থেকে মীরগঞ্জ প্রান্তেও ফেরি চলাচল করতে হচ্ছে।
পূর্বে যেখানে একটি ট্রিপে গড়ে ২০ লিটার জ্বালানি তেল প্রয়োজন হতো, বর্তমানে সেখানে ৩০ লিটারেরও বেশি তেল খরচ হচ্ছে। ফলে দৈনিক গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় হচ্ছে, যা ফেরি পরিচালনায় বড় ধরনের লোকসান সৃষ্টি করছে। অতিরিক্ত সময় অপচয়ের কারণে নির্ধারিত সময়সূচি বজায় রাখা সম্ভব না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন এ রুটে পারাপাররত যাত্রীরা। এ অবস্থায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।
ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোল্লা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী রুবেল মিয়া বলেন, দ্রুত নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চর ও ডুবোচর কেটে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত ফেরি চ্যানেল পুনরুদ্ধার করতে হবে। অন্যথায় বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে ফেরির ভাড়া পুনঃনির্ধারণের আবেদন জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম জানান, বিষয়টি ইজারাদার কর্তৃপক্ষ আমাকে এখনো জানাননি তবে, যদি ফেরি চলাচলে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে নাব্যতা সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে ফেরি চলাচলে অতিরিক্ত সময় ও জ্বালানি খরচের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যানবাহনের চালকরাও। চালকরা জানান, নদীর নাব্যতা সংকট দ্রুত সমাধান না হলে এই রুটে যানবাহন চলাচল আরও ব্যাহত হবে।