অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বুধবার সকালে রাজধানীর বেগুনবাড়ি দীপিকার মোড়ে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন, গত বছর আমাদের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। আমাদের রপ্তানিতে প্রায় ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। ব্যাংকে ডলার সংকট, এই তথ্য সঠিক নয়। ব্যাংকে কোনো ডলার সংকট নেই।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আজ থেকে টিসিবির কাগজের কার্ডের যে ব্যবস্থা ছিল, সেই ব্যবস্থাকে বাতিল করা হলো। নতুন স্মার্ট কার্ডেই টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্যক্রম হবে। টিসিবির পণ্যের ক্ষেত্রে যে ধরনের নৈরাজ্য এবং দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল, এটাকে ডিজিটাল করার মাধ্যমে যত ধরনের অনিয়ম ছিল তার একটা বড় অংশ দূর করতে পেরেছি। এ প্রক্রিয়া চলমান। এক কোটি কার্ডের মধ্যে প্রথমে ৫৭ লাখ, পরে আরো ৬ লাখ ডিজিটাল কার্ড বাজারে ছেড়েছি। আমরা আরো ৩০-৩৫ লাখ কার্ড দিতে পারি। সেটা আমরা নিয়ে আসবো। আমরা টিসিবির ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ এবং আরো অংশগ্রহণমূলক করতে চাই। আমরা আরও বেশি লোকের কাছে এই উপকার পৌঁছে দিতে পারব।
বাজারে চালের ভরা মৌসুমেও দাম বৃদ্ধি নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। নিজস্ব মজুদেও ঘাটতি নেই। স্থানীয় উৎপাদনেও ঘাটতি নেই। আমরা আমনের ভরা মৌসুম পার করছি। ঠিক এই মুহূর্তে বাজারে এই দামের কোনো যৌক্তিক কারণ আমরা দেখছি না। এটার কারণ আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি, বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে এটা অযৌক্তিক মনে হচ্ছে। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যে দাম নেমে আসবে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আলুর দাম ৫০ টাকারও কম। কিছুদিন আগেও অপ্রত্যাশিতভাবে আলুর দাম বেড়ে গিয়েছিল। আস্তে আস্তে সহনীয় পর্যায়ে আসছে। আরো সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। সরকারি পর্যায়ে বছর শেষে কিছু আলু মজুত করব। প্রয়োজন হলে আমদানি করে মজুত করব। গত বছর মূল্য বেশি হওয়ার কারণে আলুর চাষ ব্যাপক হয়েছে। এ বছর স্বাভাবিকভাবে আলু ও পেঁয়াজের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা করা যায়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, শুধু বাজার মূল্য না, কৃষকদের কথাও চিন্তা করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একটা যৌক্তিক পর্যায়ে বাজার ব্যবস্থা করা।