বাংলাদেশের ক্রিকেটের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আবারও বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করেছেন। গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে দেওয়া দ্বিতীয় বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার ফলাফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। বিসিবি সূত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, চেন্নাইয়ের পরীক্ষায় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে এবং ওই রিপোর্ট কয়েকদিন আগে তাদের কাছে পৌঁছেছে। যদিও আনুষ্ঠানিক চিঠি এখনও বোর্ডে পৌঁছায়নি, তাই বিসিবি এখনো কিছু ঘোষণা করতে পারছে না।
এর আগে, ২০১৮ সালে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায়, যা সাকিবের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে আসে। তার পরের বছরের ২ ডিসেম্বর তিনি লাফবরো ইউনিভার্সিটিতে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করেন। পরবর্তী সময়ে, ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে আবার পরীক্ষায় বসেন, কিন্তু সেখানে ফলাফল আবারও নেতিবাচক আসে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয়বার বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়লে, সংশ্লিষ্ট বোলারকে এক বছর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে বোলিং করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে, সাকিব এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি কোনো বিদেশি টুর্নামেন্টেও বোলিং করতে পারবেন না। তবে, বিসিবি জানিয়েছে, সাকিব এখনই পরীক্ষা দিতে পারবেন না, কিন্তু বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করতে থাকলে তিনি আবার পরীক্ষার সুযোগ পাবেন।
এদিকে, সাকিবের দ্বিতীয় পরীক্ষার ফল নিয়ে বিসিবি কিছুটা বিভ্রান্ত। একটি সূত্র জানাচ্ছে, চেন্নাইয়ের পরীক্ষায় ‘টেকনিক্যাল এরর’ বা কারিগরি ত্রুটি থাকতে পারে, যার কারণে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানানো হতে পারে। এতে সাকিব আবারও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন, যদি তিনি মনে করেন তার অ্যাকশন এখন ঠিক হয়েছে।
সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে এই অনিশ্চয়তার কারণে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সাকিব এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন, এবং এই বিষয়টি বিসিবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরে আরো স্পষ্ট হবে।
সাকিবের ভক্তরা এখন তাকিয়ে আছেন তার বোলিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে এবং তিনি আবার কবে সঠিকভাবে বোলিং করার সুযোগ পাবেন।