কাহারোলে ১১৫ টি হাসকিং মিল বন্ধ

এফএনএস (মোঃ আব্দুল্লাহ; কাহারোল, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
কাহারোলে ১১৫ টি হাসকিং মিল বন্ধ

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ১১৫ টি হাসকিং মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রায়  ৩ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। অনেকে অন্য পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।কাহারোল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৩৯ টি হাসকিং মিল ছিল। বর্তমানে এ বছর ২৪টি হাসকিং মিল চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য। ১১৫টি হাসকিং মিল বিভিন্ন কারণে বন্ধ রয়েছে বলে খাদ্য বিভাগ মনে করছেন। উপজেলার কাজিকাটনা গ্রামের ভাই ভাই হাসকিং মিলের প্রোপ্রাইটর মোঃ নাইমুল ইসলাম বলেন, অটো রাইস মিলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাল তৈরী করা যাচ্ছে না ও মূলধন অভাবের কারণে হাসকিং মিল বন্ধের পথে। তিনি বলেন, আমি প্রায় ৪ বছর ধরে মিলের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। মুটুনি হাটের মিল মালিক শামসুল ইসলাম বলেন, হাসকিং মিলের চাল এখন বাজারে বিক্রি হয় কম। তাই হাসকিং মিলের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আরোও বলেন, আগের মত ব্যবসা না থাকার কারণে ধীরে ধীরে মিল মালিকেরা ব্যবসা গুটিয়ে অন্য ব্যবসায় করছেন। ১৩ মাইল গড়েয়া হাটের মিলার শমশের আলী জানান, আগে অল্প পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা করলে লাভ হতো বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশী, চালের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে না। তাই হাসকিং মিলের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। হাসকিং মিলের চাল ছাঁটাই করতেন ১০ মাইল এলাকার রহিমা খাতুন, তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল হতে হাসকিং মিলে চাল ছাঁটাই করে সংসার চালাইতাম। এখন মিল বন্ধ থাকার কারণে মাঠে কাজ করি। আগের মত কাজ করতে পারি না। একই এলাকার জরিনা খাতুন বলেন, মিলে কাজ নেই, তাই কৃষি শ্রমিকের কাজ করি। মিল মালিক মতিউর রহমান বলেন, পুঁজি সংকট ও শ্রমিকের মূল্য বেশী এবং শ্রমিক সংকট রয়েছে প্রচুর। ধান-চাল খাদ্য গুদামে দিতে গেলে অনেক হয়রানী হতে হয় যার কারণে অনেক হাসকিং মিলের মালিক এই ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহীন রানা বলেন, বর্তমানে হাসকিং মিলের চালের মান অটো রাইস মিলের মত নয় তাই হাসকিং মিল মালিকেরা চাল দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে না। কৃষকদের ধান নেওয়ার কথা থাকলেও কৃষকেরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছেন না। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে