মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় সাবেক এমপি অভি খালাস পেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় সাবেক এমপি অভি খালাস পেলেন

২২ বছর আগে ঘটে যাওয়া মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. শাহীনুর আখতার এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

রায়ে বলা হয়, মামলার একমাত্র আসামি গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনা অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষ ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করে। তবে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। 

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নিচে মডেল তিন্নির মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগে বলা হয়, তিন্নি তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর অভির সঙ্গে বিয়ের দাবি জানান। তবে অভি সেই সম্পর্ক অস্বীকার করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে তিন্নি হত্যার শিকার হন এবং তার মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়।  

রায় ঘোষণার সময় গোলাম ফারুক অভি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি ২০০২ সালের পর থেকেই কানাডায় পলাতক। রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন আদালতে অভির পক্ষে মামলার শুনানি পরিচালনা করেন।  

অভির আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন বলেন, “আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পেয়েছেন। মামলার এজাহারে তার নাম ছিল না, এবং রাষ্ট্রপক্ষও অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”  

তবে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ মো. আবু জাফর রিজবী বলেন, “রায়ের বিষয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করার পরিকল্পনা করছি।”  

রায় ঘোষণার সময় তিন্নির পরিবারের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ২০২২ সালে আদালতে দেওয়া এক জবানবন্দিতে তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। 

এই রায়ের মাধ্যমে তিন্নি হত্যা মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হলো। তবে আপিলের মাধ্যমে মামলাটি আবারও আলোচনায় আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে