বরিশালের সিসি ক্যামেরা কেলেঙ্কারির ঘটনায় হবে তদন্ত

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : : | প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম
বরিশালের সিসি ক্যামেরা কেলেঙ্কারির ঘটনায় হবে তদন্ত

নগরীকে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে দিতে আড়াই কোটিরও বেশী টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাগুলো এখন পর্যন্ত নগরবাসীর কোন উপকারে আসেনি। ইতোমধ্যে চুরি হয়ে গেছে ৮০টি ক্যামেরাসহ ৪২০টি ক্যামেরার ক্যাবল। এজন্য বিসিসির উদাসীনতা ও অবহেলাকে দায়ি করেছেন সচেতন নগরবাসী। তবে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বরিশাল সিটি করপোরেশনের অধীনে চালু করা হয় ৪২০টি সিসি ক্যামেরা। কোন প্রকার জোড়াতালি দিয়ে এর কার্যক্রম সচল ছিলো ওই বছরের জুন মাস পর্যন্ত। এখন রাস্তার পাশের পোস্টগুলোতে দেখা যায় অকার্যকর ক্যামেরাগুলো। এর সব ক্যাবল চুরি হয়েছে। আটটি সিসি বুথের সবকটিতে তালা ঝুঁলতে দেখা গেছে। ৪২০টির মধ্যে ৮০টি সিসি ক্যামেরাসহ সব ক্যামেরার ক্যাবল চুরি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, প্রথম থেকেই এ ক্যামেরাগুলো যেভাবে চালু করার কথা ছিলো সেভাবে চালু হয়নি। কাজও ভালো হয়নি। বর্তমানে একটি ক্যামেরাও চালু নেই। তিনি আরও বলেন, খুব শীঘ্রই আমরা একটি কমিটি গঠণ করে পুরো বিষয়টি দেখবো। মেশিনারিজ যা আছে তাও নতুন করে কাজ করবে কিনা দেখা হবে। অনিয়ম ও ঘাটতির জন্য এগুলোর বেহাল দশা হয়েছে। এসব ঘটনায় বিসিসির কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী অহিদ মুরাদ বলেন, ২০১৭ সালে এ ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়। মূলত এগুলো রক্ষণাবেক্ষনের জন্য কোন অর্থের বরাদ্দ না থাকায় আমরা সঠিকভাবে দেখভাল করতে পারিনি। এ সুযোগে ৮০টিরও বেশি ক্যামেরাসহ সব ক্যাবল চুরি হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে শুধু পোস্টগুলো। তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বরিশাল নগরীর ৫৮টি স্পটে ৪২০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়।  নগরভবন ও সম্প্রসারিত নগর ভবনসহ নগরীজুড়ে এ ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হলেও ৭০টি ক্যামেরা ছাড়া বাকি সাড়ে তিনশ’ ক্যামেরা অল্প কিছু দিনের মধ্যে বিকল হয়ে যায়। সম্প্রতি বিসিসির দুইটি ভবনে হামলার ঘটনায় বাকিগুলোও অচল হয়ে যায়।  বিসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, এ ক্যামেরাগুলো নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে স্থাপন করা হয়েছিলো। তখনকার পুলিশ প্রশাসনও এগুলো তাদের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু পরিষদ পরিবর্তনের পর একাজের আর অগ্রগতি হয়নি। এগুলো চলমান রাখতে যে সাপোর্ট দরকার ছিলো তাও পরবর্তীতে দেওয়া হয়নি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে