বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকার ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জনসভায় বললেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার কোথায়? যিনি আমাদের একজন আমিরকে বলেছিলেন তার প্রবেশ নিষেধ। সাইনবোর্ডও টানিয়ে রেখেছিলেন। সেই গডফাদার একটি সভায় ডিসি-এসপিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, আমার নামে অগ্রিম মামলা করে রাখেন। আমি অধ্যাপক গোলাম আযমকে হত্যা করতে চাই। অধ্যাপক গোলাম আযম অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু গডফাদারের সুযোগ হয়নি খুন করার।
ডা. শফিকুর রহমান আরও যোগ করেন, অহংকার ভালো জিনিস নয়। দুনিয়াতেই করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়। আজ সেই গডফাদার কোথায় আছেন। নারায়ণগঞ্জবাসী যুগ যুগ ধরে কষ্টে আছেন। নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়ে রেখেছিল।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পালিয়ে গিয়েও দেশের মধ্যে উসকানি দিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় শেখ হাসিনা। মুক্তিপাগল মানুষ এসব সহ্য করবে না। উসকানির ফলে বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার দায়ভার সম্পূর্ণ উসকানিদাতার।
এ সময় জামায়াত আমির বলেন, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের যত টাকা চুরি-ডাকাতি ও লুট করে বিদেশে পাচার করেছে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সে টাকা জনগণের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ৫৪ বছর এই জাতিকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। আর সুকৌশলে এই বিভক্তি সৃষ্টি আওয়ামী লীগ করেছিল। তারা বিভক্তির শুরু করেন পাহাড়িদের নিয়ে। তারা ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা সবাই বাঙালি। কিন্তু এটা নিয়ে পাহাড়িরা প্রতিবাদ করেন। তখন থেকে এই যে বিভক্তি শুরু হয়েছে তা এখনো চলমান রয়েছে। এখনো ওইখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। তারা এখন বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরা সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। এই বিভক্তি যতোদিন থাকবে ততোদিন এই জাতির মধ্যে একতা সৃষ্টি হবে না। যা দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর প্রত্যক্ষ করেছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক আমির মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, জেলা আমির মমিনুল হক সরকার ও মহানগরী আমির মুহাম্মদ আবদুল জব্বারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।