মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগমের নামে নির্মিত পার্ক অপসারণের লক্ষ্যে ভাঙচুর করেছে ছাত্র সমাজ। একইসময়ে বরিশাল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ ও গৌরনদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ ভাঙচুরে অংশগ্রহণ করেন। তবে এ সময় আশপাশে কোথাও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, নগরীর চৌমাথা এলাকায় জনগণের আপত্তির মুখে সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ মহাসড়ক ও সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের জায়গা দখল করে তার ইচ্ছেমতো একটি পার্ক নির্মাণ করেছেন। রাষ্ট্র বা জনগণের টাকা ব্যয় করে নির্মিত সেই পার্কের নাম দেয়া হয় তার মায়ের নামে। এই পার্কের কারণে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক সরু হয়ে গেছে। ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই আমরা এটিকে এখান থেকে অপসারণের কথা বিভিন্ন দপ্তরকে বলে আসছি কিন্তু তারা তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি। তাই ছাত্র সমাজ উদ্যোগ নিয়ে পার্কটির বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে।
অপরদিকে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে একইদিন বরিশাল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। যদিও ৫ আগস্টের ভাঙচুরে ঘটনায় ম্যুরালের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। এছাড়া গৌরনদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেক্যু দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে ছাত্র-জনতা ভাস্কর্যটি গুড়িয়ে দেওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দেয়ালের আংশিক ভাঙচুর করা হয়। যদিও গত ৫ আগস্টের ভাঙচুরের ঘটনায় ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। ভাস্কর্য ভাঙচুরের সময় আশপাশে কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর কালিবাড়ি রোডের বাসভবন এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বগুড়া রোডের বাসভবনের সামনের অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।