আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ফেডারের পল্লী বিদ্যুতের লোড শেডিং এর নামে বিদ্যুত বন্ধ রাখার যন্ত্রনায় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। প্রতিদিন দিনে ও রাতে বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং এর ফাঁদে পড়ে গ্রাহকদের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম হয়েছে।
বিদ্যুতের উৎপাদন যেখানে আশাব্যাঞ্জক পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে বিদ্যুতের লোডশেডিং সহনশীল পর্যায় থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ বুধহাটা ফেডারের গ্রাহকদের সাথে বিমাতাসূলভ আচরণ করেই চলেছে। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে স্বভাবসূলভ জবাব পাওয়া যায়, লোডশেডিং চলছে, কিংবা লাইনে কাজ চলছে, কিংবা উপর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে ইত্যাদি। বিদ্যুতের সরবরাহ কত কেভি থাকে সেটি জানার সুযোগ সাধারণ গ্রাহকদের নেই। কিন্তু অবাক হওয়ার কথা, সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন ও সারারাত বিদ্যুতের আনাগোনার রেওয়াজ বুধহাটা ফেডারেই দেখা যায়। ভোর রাত থেকে শুরু করে, সকালে, বেলা বাড়লে, দুপুরে, বিকালে বিদ্যুতের কতবার আগমন প্রস্থান এই ফেডারে হয়ে থাকে তা হিসাব রাখা কঠিন। সন্ধ্যা নামলেই বিদ্যুতের লাপাত্তা এ ফেডারে প্রতিদিনের সঙ্গী। এরপর সারারাত এ পরিস্থিতি বিরাজমান থাকে। বলতে গেলে বিদ্যুৎ লোডশেডিং মানে বুধহাটা ফেডারের উপরই লেগেই থাকে। অন্য ফেডারগুলোতে এই পরিস্থিতি খুব কমই দেখা যায়। অন্য স্থানে যদি ২ বার লোড শেডিং হয়, বুধহাটা ফেডারে ১০ বার হবে এমনটাই যেন ধরাবাধা গদ হয়ে দাড়িয়েছে। বুধহাটা ফেডারে রয়েছে বহু কল কারখানা, রয়েছে অনেকগুলো অফিস-ব্যাংক-বীমা, রয়েছে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা, রয়েছে সর্বাপেক্ষা বেশী সংখ্যক দোকান-পাট। বিদ্যুৎ না থাকলে বুধহাটা ফেডারের কয়েক শত কারখানা, ওয়েল্ডিং মেশিন, হাসপাতাল, ক্লিনিক, লেদ, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার মেশিনসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়ে। শ্রমিকরা ও উপকারভোগিরা সারাদিন বসে বসে ক্লান্তিহীন সময় পার করতে বাধ্য হন। এব্যাপারে আশাশুনি বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম এর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমানে লোড শেডিং নেই, সিস্টেম সমস্যার কারণে মাঝে মধ্যে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কর্তার এহেন জবাবে গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। তাদের দাবী বুধহাটা ফেডারের গ্রাহক ভোগান্তি দূর করতে কর্তৃপক্ষ সুনজর দেবেন। যাতে অযথা কিংবা অতিরিক্ত ভোগান্তিতে গ্রাহকদের না পড়তে হয়।