ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করে চলেছেন ভুক্তভোগী আবেদনকারীরা। বুধবার স্থানীয় সাংবাদিক সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অনিয়মের অভিযোগ করেন। গত ৪ জানুয়ারী উপজেলা পরিষদের সন্মেলন কক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য মক্তব শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আট জন শিক্ষক নিয়োগের চুড়ান্ত ফলাফল জারী করার পরও ফরিদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চারজন প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ মক্তব শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৩য় স্থান অধিকারী হাফেজ হাসিবুল হাসান জানান, আমরা যথা সময়ে যথাস্থানে প্রায় ২০ জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। এ লিখিত পরীক্ষায় ক্রমানুসারে আটজন প্রার্থী উত্তীর্ণ বলে নিয়োগ কমিটি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। একই দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা মক্তব শিক্ষকদের চুড়ান্ত ফলাফল সহ ফরিদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নিয়োগপত্র প্রদানের জন্য সুপারিশপত্র প্রদান করেন। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশন সব প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম ঝুলিয়ে রেখে গোপনে পৃথক পৃথক চার প্রার্থীকে ডেকে নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। বাকী চারজন উত্তীর্ণ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রেখে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বুধবার ফরিদপুর ইসলামি ফাউন্ডেশনের মাষ্টার ট্রেইনার ও উপজেলায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাওলানা গোলাম মাওলাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “ ঢাকা থেকে যাচাই বাছাই কমিটি এসে কয়েকজনের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আর নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩য় স্থান অধিকারী হাফেজ হাসিবুল হাসানের সার্টিফিকেটে ত্রুটি রয়েছে বলেও তিনি জানান”। তবে ওই প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উপজেলার এম.কে. ডাঙ্গী গ্রামের ইসলামি ছিদ্দীকিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ আঃ মান্নান বলেন, “ হাসিবুল হাসানের সার্টিফিকেটে কোনো ত্রুটি নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাকে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য বাহানা চালাচ্ছেন বলেও তিনি জানান”। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কেন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে তার সুনির্দিষ্ট কারণ ও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে”।