কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ অপর দিকে বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে জীবন ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। অফিস আদালতের কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ইরি-বোরো মৌসুমের শেষের দিকে এসে জমিতে সেচ দিতে না পারায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। চলতি এইচএসসি ও ডিগ্রী পরীক্ষার্থীদের বিদ্যুতের অভাবে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে বিঘœ ঘটছে। ব্যবসা-বানিজ্যে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার জানান, ২৪ ঘন্টায় মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। তাও আবার যাওয়া আসার মধ্য দিয়ে। গাবের তল এলাকার কৃষক সাজু মিয়া জানান, ইরি-বোরো ধানের শীষ বের হলেও বিদ্যুতের অভাবে সঠিকভাবে সেচ দিতে না পারায় ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা মোড়ের ফটোষ্টাট ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে এলাকাবাসী শংকিত। চিলমারী উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ ইনচার্জ আজিজুল হক জানান, চিলমারীতে দৈনিক সাড়ে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। মাত্র দেড় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে এলাকা চলছে। দুই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।