কালীগঞ্জ শহরের উপর দিয়ে যাওয়া মহা সড়কের দু,পাশে মাটি না থাকার কারণে ক্রমান্বয়ে দূর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নেকনজন নেই। বিশেষ করে কালীগঞ্জ ও ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে মাটি না থাকার কারণে প্রায়দিনই দূর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের এ অংশের দুই পাশে মাটি না থাকায় এবং মূল সড়ক থেকে দুই পাশ এক থেকে দেড় ফুট নিচু হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে। কালীগঞ্জ শহরের টেলিফোন অফিসের সামনে, আয়শা তেল পাম্পের সামনে, বেজপাড়া নামক স্থানে, মাহাতাব উদ্দিন কলেজের সামনে, পশু হাসপাতালের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে মহাসড়কের দু,পাশে মাটি না থাকার কারণে বর্ষা হলে কাটার কারণে বেশি সম্যা হয়ে থাকে। মটর সাইকেল, ভ্যান,রিকসা, সিএনজি,ইজিবাইক রাস্তার পাশ থেকে ঊঠতে পারে না।অনেক সময় পড়ে যায়। আবার মহা সড়কের পাশে নেই কান ইটের সলিং বা হেরিনবোন। এমন করা থাকলে বর্ষায় মাটি কাঁটা পড়তো না। যে কারণে বাস,ট্রাক বা ভারি যানবাহন রা¯তার পাশে গেলে ঊঠানোর সময় পাকা রাস্তার পিচ ও পাথর উঠে যায়। এত করে রাস্তার পাশে মাটি না থাকার কারণে ভারি যানবাহন চলাচল করতে করতে রাস্তার এক পাশ বসে যাচ্ছে, পিচ পাথর ও উঠে যাচ্ছে। কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ ও যশোর সড়কের বারবাজার পর্যন্ত মহাসড়কের দু, পাশে এমন খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নেকনজর দিচ্ছে না। এ কারণে সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ হালকা যানবাহনের চালকেরা দ্রুতগতির বাস ও ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অনেক সময় রাস্তার পাশে যানবাহন উল্টে যায় তাকে আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের টেন্ডারে যখন রাস্তা নির্মানের টেন্ডার দেওয়া হয় তখন সড়কের দু,পাশে মাটি দেওয়ার টাকা বরাদ্ধ থাকে। কিন্তু রাস্তা নির্মান হলে ও মাটি দেওয়া হয় না। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তার লোক দিয়ে মাটি না দিয়ে রাস্তার দু,পাশের পাটি চেচে ছুলে সমান করে থাকে ৫ ফুট করে। এমন করে থাকে যে দেখলে মনে হয় রাস্তার পাশে ঘাট কেটে সমান করা। তার পর ঐ ঠিকাদাররা মাটি না দিয়ে ও মাটির টাকা তুলে নিয়ে থাকে। অফিসের কর্মকর্তারা ও দেখে শুনে কোন কিছু না বলেই তাদের কাজের টাকা দিয়ে থাকে। অচিরেই মহাসড়কের দু,পাশে মাটি দেওয়া একান্ত দরকার। এ সড়ক দিয়ে দিন রাত সর্ব সময় ছোট বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। সামনে আসছে বর্ষা মৌসুম তাতে করে মহাসড়কের পাশে মাটি দেওয়া অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। সচেতন মহল মনে করেন, সড়কের দু,পাশে এমন ভাবে দিতে হবে যাতে করে সরে না যায়। কালীগঞ্জের এ সড়ক দিয়ে দেশের প্রতিটি এলাকার যানবাহন চলাচল করে থাকে। কালীগঞ্জের উপর দিয়ে যশোর, ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা,কুষ্টিয়াসহ দেশের প্রতিটি জেলায় যাওয়ার একমাত্র মহাসড়ক। সড়ক জনপথের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য এ সড়ক গুলোর বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে। কারণ একটাই সড়ক নির্মানের সময় রাস্তার দু,পাশে ৫ ফুট মাটি দেওয়ার কথা থাকলে ও তা দেয়া হয় না। ঠিকাদাররা কাজ না করে নি¤œমানের কাজ করে থাকে আর সংশ্লিষ্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা নগদ নারায়নে তুষ্ঠ হয়ে সব কিছু না দেখার ভান করে চুড়ান্ত বিল করে দেয়। দেখা গেছে কালীগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সহাসড়কের দু,পাশে মাটি না থাকার কারণে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ও সড়কের মান ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে। বারবাজার থেকে শুরু করে ঝিনাইদহ সড়কের ছালাভরা নামক স্থান পর্যন্ত রাস্তার দু,পাশে মাটি দেওয়া একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে দেখা গেছে রাস্তার পাশে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে,তারা দোকানের সামনে ও সড়কের পাশে মাটি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করেছে।