যশোরের কেশবপুরে ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বর্জন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। খেলার সকল আয়োজন সম্পন্ন হলেও মাঠে দল না আসায় শেষ মহূর্তে খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। খেলা না হওয়ায় উপস্থিত হাজারও খেলাপ্রেমী মানুষ হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর ধরে কেশবপুরে ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। খেলায় উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২ টি দল আশগ্রহন করে থাকে। গতকাল রোবাবর কেশবপুর পাবলিক ময়দানে খেলার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। এ উপলক্ষে মাঠ সজ্জা করা হয়। উপজেলা সদরের ত্রিমোহিনী মোড়ে তোরণ তৈরি করা হয়। যশোরের জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল খেলার উদ্বোধন করবেন বলে এক সপ্তাহ ধরে মাইকিং করা হয়। গতকাল রোববার খেলার উদ্বোধনী দিনে কেশবপুর ইউনিয়ন একাদশ বনাম পাঁজিয়া ইউনিয়ন একাদশের খেলা হবার কথা ছিল। কিন্তু এ দুটি দলই খেলায় অংশগ্রহণ করতে দল নিয়ে আসেনি। বিকেলে মাঠে দর্শক সমাগমও হয়। শেষে খেলা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় দর্শকরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল সাংবাদিকদের জানান, কেশবপুরের ইউএনও মিজানূর রহমান তাঁর ইচ্ছামতো কাজ করছেন। উন্নয়ন কাজে চেয়ারম্যানেদের কোন মূল্যায়ন করছেন না। তার স্বেচ্চাচারিতায় চেয়ারম্যানরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভিজিডি, ভিজিএফ ও কর্মসৃজনের কাজ তিনি এককভাবে করছেন। চেয়ারম্যানদের কোন মতামত গ্রহন করছেন না। খেলায় আংশগ্রহন করে কী হবে। তাই চেয়ারম্যানরা এই খেলা বর্জন করছেন।
এ প্রসঙ্গে কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানূর রহমান বলেন, শেষ মহুর্তে কেন যে দল দুটি খেলায় অংশগ্রহণ করলো না বুঝতে পারছি না। চেয়ারম্যানদের খেলা বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, কোন চেয়ারম্যান যদি স্বেচারিতার কথা বলে থাকেন সেটা তার ব্যক্তিগত কথা। তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মকা- সরকারের নিয়ম অনুযায়ী হয়। সেভাবেই হবে। এখানে অন্যথা হবার সুযোগ নেই।